স্টাফ রিপোর্টার:
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের গাড়ি চালক সৈয়দ কাওছার আলী এমরানের বিরুদ্ধে চাঁদাবজি ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৫ অক্টোবর হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ওশায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুরাবই গ্রামের মফিজ উল্লার ছেলে এইচ আর রুবেল নামে এক ভুক্তভোগী।
সৈয়দ কাওছার আলী এমরান শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুরাবই গ্রামের সৈয়দ ছমির আলীর পুত্র। তিনি হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের গাড়ি চালক হিসেবে কর্মরত আছেন। ভুক্তভোগীর দাবী, সৈয়দ কাওছার আলী এমরান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের গাড়ি চালক হিসেবে কর্মরত থাকয় কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
অভিযোগ থেকে জানাযায়, সৈয়দ কাওছার আলী এমরান হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চাকরির সুবাধে এলাকায় নানা অপকর্ম করে যাচ্ছেন। তার বাহিনী দিয়ে জোরপূর্বকভাবে এলাকায় বাসা-বাড়ি দোকানপাট দখল, চাঁদাবাজি, বিভিন্ন জায়গায় খাস জমি দখল করে আসছেন। এছাড়া প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন মিথ্যে মামালা দিয়ে হয়রানি করা সহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারী এইচ আর রুবেল জানান, জোরপূর্বকভাবেই সৈয়দ কাওছার আলী এমরান তার বড়ীর উপর দিয়ে ভাটি দিয়ে রাখে। যার ফলে বিভিন্ন ময়লা ও পচা দূগন্ধ পানি বাড়ীর উপর দিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে কিছুদিন আগে তর্ক বিতর্ক হলে সৈয়দ কাওছার আলী এমরান মামলার ভয় দেখান এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানালে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর অতির্কিত হামলা চালায়। এত আমিসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হলে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেই। পরবর্তীতে এল্টো আমাদের নামে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে সৈয়দ কাওছার আলী এমরান।
আমি হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবারে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা পাচ্ছি না। সৈয়দ কাওছার আলী এমরান বর্তমানে আমার পরিবারকে হুমকি ধমকি দিয়ে বলছে, আমি ডিসি অফিসে চাকরি করি, আমার নামে অভেযোগ দিয়ে কোন লাভ নাই।
এইচ আর রুবেল বলেন, আমি নিরুপায়, আমি অসহায়। আমি প্রশাসনের কাছ সৈয়দ কাওছার আলী এমরানের শাস্তি চাই, বিচার চাই।