সিলেট-৪ আসনের আপামর মানুষের মুখে মুখে হেলাল উদ্দিন আহমদ
সুয়েব রানা জৈন্তাপুর :সিলেট-৪ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিএনপির উপদেষ্টা হেলাল উদ্দিন আহমদ বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তৃণমূল থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যেও তার নাম উচ্চারিত হচ্ছে প্রত্যাশার প্রতীক হিসেবে।
বিগত সরকারের আমলে যখন সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা নানা সমস্যার মুখোমুখি ছিলেন, তখন সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের মাঠপর্যায়ের কর্মীদের পাশে থেকে তাদের খোঁজ-খবর নেন এবং সাহস ও প্রেরণা জুগিয়ে দেন লন্ডনপ্রবাসী এই নেতা, যা মানুষ আজও স্মরণ করছে।
তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের বহর গ্রামের কৃতি সন্তান, প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান হাজী তেরা মিয়া বতন চেয়ারম্যানের সুযোগ্য উত্তরসূরী।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে হেলাল উদ্দিন আহমদ বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এলাকায় নতুন প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও তার প্রার্থিতা নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বিগত সরকারের আমল থেকে যখন বিএনপির নাম উচ্চারণ করাটাই অনেকের জন্য ভয় ও বিপদের কারণ ছিল, তখনও হেলাল উদ্দিন আহমদ ছিলেন সাহসের প্রতীক। দলীয় নেতাকর্মীরা যখন আতঙ্কে রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি নির্ভীকভাবে মাঠে থেকে কর্মীদের মনোবল জুগিয়েছেন। বহুবার ভয়ভীতি ও নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে সরানোর চেষ্টা করা হলেও কেউই তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। দলের কঠিন সময়েও তিনি কর্মীদের পাশে থেকে রাজনীতিকে ধরে রেখেছেন দৃঢ়ভাবে।
বিএনপির কঠিন সময়েও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা বাস্তবায়নে হেলাল উদ্দিন আহমদ মাঠে ছিলেন সক্রিয়। জান-প্রাণ ও বিপদের ভয় উপেক্ষা করে তিনি একনিষ্ঠভাবে দলের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন, খোঁজ নিয়েছেন প্রতিটি কর্মীর। দমন-পীড়নের সেই অন্ধকার সময়ে তার সাহসী ভূমিকা আজও স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মুখে মুখে স্মরণীয় হয়ে আছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত হেলাল উদ্দিন আহমদ ইতোমধ্যে দেশে ফিরে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির তৃণমূল সংগঠনে তিনি নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে সিলেট-৪ আসনে হেলাল উদ্দিন আহমদই দলীয় মনোনয়নের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রার্থী।
উল্লেখ্য, এই আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় নেতা মরহুম দিলদার হোসেন সেলিমের মৃত্যুতে যে নেতৃত্ব শূন্যতা তৈরি হয়েছিল, সেটি পূরণে হেলাল উদ্দিন আহমদের এগিয়ে আসা অনেকের কাছেই আশাব্যঞ্জক ও স্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
হেলাল উদ্দিন আহমদের পিতা মরহুম তেরা মিয়া বতন চেয়ারম্যান ছিলেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম কামরান চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল মালিক এবং দিলদার হোসেন সেলিমের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর। পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় হেলাল উদ্দিন আহমদও বিএনপির আদর্শে বেড়ে ওঠা একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী।
২০০৩ সালে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমানোর পরও তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখেন। লন্ডনে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক হিসেবে পরিচিত, যার হাস্যোজ্জ্বল ব্যবহার ও মানবিক উদ্যোগের কারণে প্রবাসী বাংলাদেশি সমাজে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
তখন তিনি দেশে আসা-যাওয়া করতেন এবং ছায়ার মতো কর্মীদের পাশে থেকে তাদের পাশে ছিলেন।
গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, হেলাল উদ্দিন আহমদের মাঠপর্যায়ের যোগাযোগ, মানবিক কাজ ও তৃণমূলের আস্থা তাকে আজ সিলেট-৪ আসনের রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।