এক শোক বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফখরুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে আমরা একজন বিশিষ্ট উদ্যোক্তাকে হারালাম। তিনি অনেক বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। সম্প্রতি তিনি সিলেটে রাতারগুল অর্গানিক এগ্রো টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করেন। যুক্তরাজ্য, মরক্কোসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তাঁর কারখানা রয়েছে। তিনি সিলেটে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠারও উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
ড. মোমেন মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
ফখরুল ইসলাম চৌধুরী আজ সকালে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
উল্লেখ্য, ফখরুল ইসলাম চৌধুরী হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বেটাপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। শিক্ষাজীবন শেষে স্রষ্টা প্রদত্ত মেধা ও প্রতিভায় নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলেও ভুলে যাননি দেশের মাটি ও মানুষের কথা। যুক্তরাজ্য ও মরক্কোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কারখান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার পাশাপাশি নিজ এলাকা হবিগঞ্জে গড়ে তুলেন বিশাল গার্মেন্টস। যেখানে কর্মরত আছেন কয়েক হাজার নারী-পুরুষ।
সম্প্রতি ফখরুল ইসলাম চৌধুরী সিলেটে সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের সাহেব বাজার এলাকার পাঠানগাঁওয়ে স্থাপন করেন ‘রাতারগুল অর্গানিক এগ্রো টেকনোলজি পার্ক এন্ড রিসোর্ট’ নামের একটি ফার্ম। গত ২০ আগস্ট এর উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। যেটিতে পর্যায়ক্রমে কর্মসংস্থান হবে হাজারও মানুষের।
এছাড়া সিলেটে বেসরকারিভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠারও উদ্যোগ নিয়েছিলেন ফখরুল ইসলাম।