সত্যজিৎ দাস-
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কালা রায়ের চর এলাকার এক দম্পতিরা ২০২০ সালের ২৯ জুলাই মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বেড়াতে আসনে। এ সময় এই দম্পতি মৌলভীবাজার রোডের তামিম রিসোর্টে ওঠেন। এ রিসোর্টের দুই কর্মচারী রেদওয়ান ও খালেদ অতি কৌশলে তাদের রুমের টিস্যু বক্সের ভেতর গোপন ক্যামেরা রাখে।
এ ক্যামেরায় তাদের একান্ত অন্তরঙ্গ দৃশ্য ভিডিও ধারণ করা হয়। কিছুদিন পর মোবাইল ফোনের ইমু নাম্বারে ফোন দিয়ে জানায়, কিছু নোংরা ছবি ও ভিডিও রয়েছে তাদের কাছে। ম্যাসেঞ্জারে ফোন দিতে জানিয়ে লাইন কেটে দেয়। এরপর ২১ অক্টোবর নাদিরা আক্তার রুমি নামে একটা ম্যাসেঞ্জারে এ দম্পতির খোলামেলা কিছু গোপন দৃশ্যের ভিডিও পাঠায়। পরবর্তীতে ফোন দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে হুমকি দেয় তা নাহলে ভিডিও ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেয়া হবে। প্রতারকের এমন হুমকিতে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তিনি এদের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে কোনো সঠিক কূলকিনারা করতে পারেন না। এদিকে এ প্রতারক টাকা না পেয়ে অবশেষে সামাজিক যোগাযোগে ভিডিও ও নোংরা ছবি ভাইরাল করে দেয়।
এ ঘটনায় দম্পতি গত ১০/০২/২০২১ ইং বুধবার শ্রীমঙ্গল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অবশেষে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ঐ দুই প্রতারক কর্মচারীকে আটক করতে সফল হয়েছে এবং সেই সাথে তাদের কাছে রক্ষিত দুটি মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করেছে।
গতকাল ১২/০২/২০২১ ইং রোজ শুক্রবার তথ্যটি নিশ্চিত করেন শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ছালেক আহমদ। তিনি জানান,এ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সিলেট কানাইঘাট উপজেলা থেকে রেদওয়ান ও শ্রীমঙ্গল থেকে খালেদ নামের এ দুই প্রতারককে আটক করে। এ দুই প্রতারক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। সেই সাথে পুলিশ তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে।