HR,রুবেলঃ
আজ দেশের নোভেল করোনা ভাইরাসের মহামারীতে রংপুর এ সরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিক খোলা থাকলে ও প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ। তখন গ্রাম ডাক্তার বা পল্লী চিকিৎসকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শহর থেকে গ্রাম, পাড়া, মহল্লায় তৃণ মূল মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামের মানুষের পল্লী চিকৎসকেরাই একমাত্র রোগীদের ভরসা হয়ে দাড়িয়েছে। সেই চিকিৎসকেরাই আবার প্রতিনিয়ত হয়রানীর স্বাকীর হয়ে থাকে। করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে পল্লী চিকৎসকদের প্রাণের সংগঠন বিপিডিএ এর তহবিল হতে কিছু সংখ্যক চিকিৎসকে ফ্রি পিপিই ও মাকর্স সরবরাহ করা হয়েছে। পল্লী চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে তারা মাঠে নিরলস ভাবে চিকিৎসা সেবার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার রাজবাড়ী পাকার মাথা বাজারে রিফাত চিকিৎসালয়ে বসে পল্লী চিকিৎসক এম এ রহিম মিয়া নিজের থেকে করোনা প্রটেক্ট সংগ্রহ করে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। পল্লী চিকিৎসক এম এ রহিম মিয়া তার সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, ভাই কি করব দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে বাড়িতে যদি বসে থাকি তাহলে এই অসহায় রোগী গুলো কোথায় যাবে। সেখানে কথা হয় পীরগাছা উপজেলা ছাত্রলীগ ইউনিয়ন সেক্রেটারি ও রাজবাড়ী পাকারমাথা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আখতারুল ইসলাম (শান্ত)এর সাথে তিনি বলেন, এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে তাই পল্লী চিকিৎসকেরাই গ্রাম গঞ্জে হতদরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের একমাত্র ভরাসা। রিফাত চিকিৎসালয়ে চিকিৎসক এম এ রহিম মিয়া সকাল ৯ টা থেকে রোগী দেখা শুরু করেন। তারপর চলে বিরাম হীন ভাবে রোগী দেখা। প্রতিদিন তিনি ৪০ থেকে ৫০ জন রোগীর চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। কখনও কখন ও তিনি রোগীদের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে করোনার উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে গ্রাম গঞ্জে করোনার উপসর্গ রোগীর সন্ধান পান, তাহলে তারা রোগীদের উপজেলা বা জেলা হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল ডাক্তার এসোসিয়েশন (বিপিডিএ) কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব রাকিবুল ইসলাম তুহিন বলেন, পল্লী চিকিসৎকরা স্বাধীনতার আগ থেকে বর্তমান সময় অবধি দেশের ক্লান্তি লগ্নে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে দেশের চিকিৎসা সেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন কওে আসছে। তথচ তাদের আবার বিভিন্ন সময় হয় রানীর স্বীকার হতে হয়। বিপিডিএ সংগঠনের মাধ্যমে সারা দেশে প্রায় ১ লক্ষ পল্লী চিকিৎসক, রংপুর বিভাগে প্রায় ১০ হাজার ২’শ ও রংপুর জেলাতে ৪ হাজার ২’শ ৯০ জনচিকিৎসক সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
আমরা সরকারকে ম্যাসেচ দিতে চাই দেশের বিভিন্ন ক্লান্তি লগ্নে আমরা সরকারের সাথে ছিলাম, বর্তমানেও আছি ভবিষ্যতেও থাকব। তবে আমাদের প্রানের দাবি সরকার যেন পল্লী চিকিৎসকদের সকল প্রকার হয় রাণী থেকে মুক্তি ও ডাক্তার হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।
শুভেচ্ছান্তে
ডাঃ এম এ রহিম মিয়া
সভাপতি
বিপিডিএ রংপুর জেলা কমিটি রংপুর।