শিরোনাম
মালদ্বীপে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ‘মুইজ্জু’র অভূতপূর্ব জয় গ্যাস সংকটে বন্ধ হল ফেঞ্চুগঞ্জের সারকারখানা ‘সুবর্ণা’ গণধর্ষণ ও হত্যামামলার রহস্য উদঘাটন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আব্দুল গফফার চৌধুরী খসরু জনপ্রিয় অভিনেতা অলিউল হক রুমি’র মৃত্যু জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবে দৈনিক সাময়িক প্রসঙ্গ’র বার্তা সম্পাদক-এর শুভেচ্ছা বিনিময় ‘সোনার বাংলা সমাজকল্যাণ সংস্থা’র উপদেষ্টা পরিষদ গঠন কিছু কিছু মিডিয়া আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে; ব্যারিস্টার সুমন তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে পুনাকের বার্ষিক বনভোজন উদযাপন জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

বানারীপাড়ায় সাবেক চেয়ারম্যান টুকু ও তার স্ত্রী সুমির নয়নাভিরাম ছাদ কৃষি সবার নজর কাড়ে…

Coder Boss / ৫০৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০২০

 

জাকির হোসেন, বানারীপাড়া ॥ সবুজ শ্যামলে ভরা আমাদের এই বাংলাদেশ। শহর, বন্দর, গ্রামাঞ্চল চারিদিক ছিল সবুজে ঘেরা। কিন্তু আজ কেবল ইট পাথর কাঠের নাগরিক সভ্যতার শহরগুলো নয় গ্রামাঞ্চল থেকেও দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ প্রকৃতি। কিন্তু মানুষ তার শিকড়কে সহজে ভুলতে পারে না। সবুজে ভরা গ্রাম বাংলায় বেড়ে ওঠা নাগরিক সমাজের একটা অংশ সবুজকে ধরে
রাখতে চায় আবাসস্থলে। সৌখিন মানুষেরা তাদের ঘরবাড়িতে সবুজ প্রকৃতিকে ধরে রাখার জন্য একান্ত নিজস্ব ভাবনা আর প্রচেষ্টায় নিজ বাড়ির ছাদে তৈরি করছে ছাদ বাগান। সময়ের সাথে এ বাগান এখন আর সৌখিনতায় আটকে নেই। নিরাপদ সবজি
দিয়ে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদাপূরণ, পারিবারিক বিনোদন এবং অবসর কাটানোর এক
মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে এ ছাদ বাগানগুলো। বাংলাদেশের শহুরে কৃষি ব্যবস্থার সৌখিন পদযাত্রা সময়ের বিবর্তনে এক সামাজিক আন্দোলনে রূপ নিতে যাচ্ছে। ছাদে বাগান কোনো নতুন ধারণা নয়। অতি প্রাচীন সভ্যতায়ও ছাদে বাগানের ইতিহাস চোখে পড়ে। খ্রিস্টের জন্মেরও পূর্বে মেসোপটিয়াম ও পারস্যের জুকুরাক নামীয় পিরামিড আকৃতির উঁচু পাথরের স্থাপনায় বাগান ও ছোট গাছ লাগানোর জন্য স্থান নির্ধারণ করার নিদর্শন পাওয়া যায়। পম্পেই নগরীর কাছেই প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন রোমান ভিলায় কেবল একটি নির্দিষ্ট ছাদ তৈরিই করা
হয়েছিল বাগান করার জন্য।এগারো শতকের পুরনো কায়রো শহরে বহুতল ভবন নির্মাণ হয় যার কোনওটি কোনওটি ছিল চৌদ্দতলা পর্যন্ত বিস্তৃত। ভবনগুলোর সবগুলোর ছাদেই বাগান স্থাপন করা হয়েছিল সৌন্দর্যের অংশ হিসেবে যাতে সেচ দেয়ার
জন্য প্রাণী শক্তির সাহায্যে চাকা ঘুরিয়ে পুলি দিয়ে নিচ থেকে ওপরে পানি তোলা হতো। ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যানও ধারণা করা হয় বিভিন্ন ছাদ ও
বারান্দার সমন্বয়ে তৈরি । তবে ঐতিহাসিকভাবে এ উদ্যানের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া না গেলেও তৎকালে বর্তমানে ইরাকের মসুল শহরের কাছেই আরেক ঝুলন্ত উদ্যানের নিদর্শন পাওয়া যায়। বিশ্বব্যাপী নগরায়ন বাড়ছে। ফলে শহুরে কৃষি নামক এক নতুন শব্দ আমাদের শব্দ ভাণ্ডারে যুক্ত হচ্ছে। এ কৃষির শুরুটা সৌখিন। ব্যাপক বাণিজ্যিক উৎপাদন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্ভব না হলেও ধীরে
ধীরে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে এ খাত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কেবল বাংলাদেশেই নয়। বিশ্বের দেশে দেশে এর গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। শহর ও গ্রামাঞ্চলে ফুল, ফল ও সবজির পারিবারিক বাগান এখন আর কেবলই সৌখিনতা বা পারিবারিক প্রয়োজন নয়। পরিবেশ রক্ষা আর নগরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে অনেক দেশেই বাড়ির ছাদ, বারান্দা, গাড়ি বারান্দা, ফুটপাত, পার্ক, সরকারি খাস
ভূমি, বজ্য ব্যবস্থাপনার প্রতিটি পর্যায়ে কৃষি উৎপাদন বিশেষ করে উদ্যান ফসল ও বাহারি ফল-ফুলের গাছের সমন্বয়ে তৈরি করা হচ্ছে সবুজ নগরায়ন। আমাদের দেশেও হাঁটি হাঁটি পা পা করে ছাদ বাগানের মাধ্যমে ব্যক্তি পর্যায়ে সবুজায়ন শুরু হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নয় বরং একান্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগেই এদেশে ছাদ বাগানের সূচনা । এমনই এক নয়নাভিরাম ছাদ বাগান গড়ে
তুলেছেন বরিশালের বানারীপাড়ার শেরে বাংলার স্মৃতিধন্য ভূমি চাখারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকু ও স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাদিয়া
শারমিন সুমি দম্পতি। সুখী এ দম্পতি তাদের বসত বিল্ডিংয়ের ছাদে ফুল-ফসলের এ আকর্ষনীয় বাগান গড়ে তুলে নিজেদের পারিবারিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের মাঝেও বিষমুক্ত সতেজ ফলমূল-শাক-সবজি বিতরণ
করে থাকেন। তারা শুধু ছাদ কৃষিই নয় নিজ বাড়ির আঙ্গিণায়ও ফুল-ফল ও সবজির বাগান গড়ে তুলেছেন। এছাড়া মাছের ঘেরে নানা জাতের মাছ চাষ ও ঘেরের চারপাশে সবজি ও ফলের বাগান তৈরী করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। অনেকেই তার এ বাগানের সৌন্দর্য অবগাহন করতে যান। তার ছাদ বাগানে রয়েছে আঙ্গুর,চাইনিজ
কমলা,মাল্টা,জাম্বুরা,আখ,থাই পেয়ারা,কলা,লাল কচু,পুদিনা পাতা,সৌদি খেজুর,রজনীগন্ধা গোলাপ, ডালিম, আনারাস, বিভিন্ন জাতের আম,ড্রাগন
ফল,এলোভেরা, পেয়ারা, লকট, পেপে, পুঁই শাক,লাউ, কুমড়া,ঢেঁরশ,মরিচ,চিচিঙ্গা সহ নানা ধরণের ফুল, ফল ও সবজি গাছ। এছাড়া ছাদের এক পাশে তারা নানা জাতের কবুতরের খামার গড়ে তুলেছেন। বাড়ির আঙ্গিনায় রয়েছে সৌদি খেজুর,রাজশাহীর
লিচু,নানা জাতের আম,কাঠাল প্রভৃতি ফলের গাছ। বাড়ির পিছনে গড়ে তুলেছেন দেশী মুরগির খামার। সব মিলিয়ে বাড়িটি যেন মাছ-মুরগি, ফুল-ফল ও ফসলে ঘেরা পরিপূর্ণ এক কৃষক দম্পতির বাড়ি। যদিও তারা রাজনৈতিক সচেতন সুশিক্ষিত এক
আধুনিক দম্পতি তদুপরি কৃষি ও সবুজ প্রকৃতি প্রেম তাদের সেই পরিচিতি ভিন্ন রূপ করে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক-জননী সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকু ও নাদিয়া শারমিন সুমি দম্পতি জানান শৈশবকাল থেকেই তারা কৃষি ও সবুজ প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্যের প্রতি অনুরক্ত। আর সেই প্রকৃতি প্রেমই তাদেরকে এ ছাদ ও বাড়ির আঙ্গিনায় ফুল-ফল ও ফসলের বাগান এবং
মাছ-মুরগি ও কবুতরের খামার গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করেছে।
মোঃ জাকির হোসেন
বানারীপাড়া


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

বিভাগের খবর দেখুন