ইসমাইল হোসেন শিমুল, গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :-
সিলেটের গোয়াইনঘাটে পাহাড়ি ঢল ও মুষলধারায় বৃষ্টিপাতে আকস্মিক বন্যায় সৃষ্টি হয়েছিল, যা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রায় ৯৫ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে টানা ভারি বর্ষণ হওয়ায় ঢলের পানি বেড়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ সম্পুর্ণ রুপে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।এছাড়া সিংহভাগ এলাকায় ঘরের দোয়ারে কিংবা ভিতরে পানি বিদ্যমান রয়েছে। এতে জনজীবনে নানা সমস্যার পড়তে হচ্ছে। কৃষক পরিবারে গৃহপালিত হাস-মুরগি,গরু-ছাগল ইত্যাদি নিয়ে অনেক বিপাকে রয়েছেন কিছু পরিবার। তবে অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রও অবস্হান করছেন।
এই আকস্মিক বন্যার
ফলে পানি বন্দী হয়ে পড়েছেন গোয়াইনঘাটের ৩ লক্ষাধিক মানুষ। অপর দিকে, গোয়াইনঘাট উপজেলাকে দ্রুত দূর্যোগপুর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ দিকে বন্যা পরিস্থিতির খবর পেয়ে গোয়াইনঘাটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করে ৩৫ টন জিআর চাল বিতরন করা হবে সরকারী ভাবে।
জানা যায়, এখন পর্যন্ত বিছনাকান্দি পিয়াইন নদী ও জাফলং ডাউকি নদী এবং জৈন্তাপুরের সারী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যসহ সরকারি ট্যাগ অফিসার গন ত্রাষ সামগ্রী বিতরণ করছেন বলে জানা যায়। এ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমসহ পুরো উপজেলা পরিদর্শন করেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার । গোয়াইনঘাট উপজেলার এসব সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম মনিটরিং করতে মাঠে তৎপর রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুস সাকিব।