বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

ঈদ উল আযহা উপলক্ষ্যে জমে উঠেছে কানাইঘাট বাজারে গরুর হাট। তবে ক্রেতা কম।

Coder Boss / ৬৫৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০২০

রহিম উদ্দিনঃ কানাইঘাট প্রতিনিধি:

সিলেটের কানাইঘাটে পশুর হাটগুলোতে বেচাকেনা জমে উঠেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে কেনাবেচা। হাটে আসা বেশির ভাগ মানুষের মুখেই মাস্ক নেই। আজ শনিবার বিকেলে কানাইঘাট ডাকবাংলা পশুর হাটে। কোরবানির পশুর হাট এবার খানিকটা দেরিতে জমে উঠেছে।

শেষ মুহূর্তে হাটগুলোতে গরু উঠছে প্রচুর। স্থানীয় ক্রেতা ছাড়াও বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে গরু ব্যবসায়ী ও ব্যাপারীরা গরু কিনছেন। ক্রেতা-বিক্রেতা, হাট ইজারাদারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এখন পর্যন্ত গরুর দাম তুলনামূলক কম ও সহনীয়।

হাটের চিত্র দেখে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘কৃত্রিম সংকট’ তৈরি করা না হলে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এবার কোরবানির গবাদিপশুর দাম সহনীয় থাকবে। কারণ বাজারে প্রচুর গবাদিপশুর সরবরাহ।

তবে খামারি ও গৃহস্থের অনেকেই লোকসানের আশঙ্কা করছেন। তাঁরা বলছেন, হাটগুলোতে প্রচুর গরু আমদানি হচ্ছে। কানাইঘাটে স্থানীয় হাটগুলোতে আগে কোরবানির ঈদের দু-তিন সপ্তাহ আগেই গবাদিপশুর হাটগুলোতে বেচাকেনা জমে উঠত। এবার শেষ সপ্তাহে শুরু হয়েছে।

এখনো চাহিদার তুলনায় হাটগুলোতে অনেক বেশি গরু উঠছে। ফলে বেচাবিক্রি আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার কম। এই কারণে প্রত্যাশার চেয়ে কম দামে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে লোকসান দিয়েও গরু বিক্রি করছেন। শেষ পর্যন্ত এ অবস্থা থাকলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন খামারি ও গৃহস্থেরা।

কোরবানি পশুর দাম নিয়ে স্বস্তি-অস্বস্তির পাশাপাশি উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, হাটগুলোতে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই। স্থানীয় বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। হাটে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষের মুখেই মাস্ক নেই। পশুর পাশাপাশি গাদাগাদি-হুড়োহুড়ি করে মানুষকে হাটে চলাফেরা করতে দেখা গেছে।

আজ শনিবার বিকেলে কানাইঘাটের পশুর এই হাটে আকারভেদে প্রতিটি গরু ৩০ হাজার থেকে শুরু করে ১লাখ,দেড় লাখ টাকায় গরু বিক্রি হচ্ছে।

কানাইঘাটের হাটের ইজারাদার বলেন, গতবারের তুলনায় এবার হাটে গরুর আমদানি বেশি। ছোট ও বড় গরুর তুলনায় মাঝারির চাহিদা বেশি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার সব ধরনের গবাদিপশুর দাম কম রয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষই দাম নিয়ে সন্তুষ্ট।

তবে আমদানির তুলনায় এখনো বেচাবিক্রি কিছুটা কম। কয়েক জন ক্রেতা ও কানাইঘাট বাজারের ব্যবসায়ি ও বণিক সমিতির সদস্য হেলাল আহমদ এর সঙ্গে কথা বললে, উনি বলেন প্রতি বছরে প্রায় ৬০/৭০হাজারের মধ্যে দিলে ও, কিন্তু এবার করোনার সংকটে কারনে ৪০/৫০হাজারের মধ্যে দিতে বাধ্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন