পলাশ পাল স্টাফ রিপোর্টারঃ
শুক্রবার ছুটির দিনে স্বামী স্ত্রী ঘুরতে বেরিয়েছিল। সিলেটের এমসি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে গাড়ি রেখে কেনাকাটা করেন। সন্ধ্যার পর ফিরে আসেন। গাড়িতেই বসে ছিলেন। সেই অবস্থায় গাড়ি থেকে তাদের নামানো হয়। স্ত্রীকে জোর করে তিনজন তুলে নিয়ে এমসি কলেজ হোস্টেলের সাত নাম্বার ব্লকের একটি রুমের কাছে। রুমটা ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংঘঠনের নামে পরিচিত। স্বামীকে গাড়িতে আটকে রাখা হয়। দুইজন পাহারায় থাকে। বাকিরা স্ত্রীকে তুলে সেই রুমের সামনে গণ ধর্ষন করে। রাত তখন আটটা।
স্বামী চিৎকার করে। অসহায় চিৎকার। ভয়ে কেউ এগিয়ে আসে না। দূরের বিল্ডিং থেকে স্ত্রীর গনধর্ষনের দূর্বিষহ চিৎকার ভেসে আসে।
কেউ এগিয়ে আসে না। ওরা রাজনীতি করে। ওদের হাতে সকল ক্ষমতা। তাই কলেজ হোস্টেল বন্ধ থাকলেও ওরা ঠিকই হোস্টেল দখল করে রেখেছিল। কলেজের অধ্যক্ষ বহুবার পুলিশ কমপ্লেইন করেও বিচার পায়নি। অধ্যক্ষ গণমাধ্যমে মাথা নিচু করে বলেন, আমি অসহায়।
ছাত্রদের কক্ষ হতে উদ্ধার হচ্ছে পাইপগান, রামদা, চাপাতি, চাকু।
এক ঘণ্টা পালাক্রমে ধর্ষন শেষে ছেলেরা পালিয়ে যায়। গণ ধর্ষনের ক্ষত বিধ্বস্ত স্ত্রীকে কোলে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বামী।
এইটাই এখনকার বাংলাদেশ। স্বামী স্ত্রী একত্রে নিজেদের ব্যাক্তিগত গাড়িতেও আর নিরাপদ নয়। স্বামীকে বেধে স্ত্রীকে গনধর্ষিত করা হয়।
গত মাসকয়েক আগে ঢাকার ব্যস্ততম ফুটপাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ধর্ষিত হয়, কয়েক সপ্তাহ আগে কুমিল্লার বাসে এক গার্মেন্টস কর্মীকে গণধর্ষন করা হয়। তখন মেয়েরা একা ছিল, আপনারা মেয়েটির পোশাক, কেন একা বের হল এইসব বলে মেয়েটিকেই দোষী বানিয়েছিলেন।
আজ মেয়েটি তার সবচাইতে বিশ্বস্ত গার্জিয়েনকে সাথে রেখেও জনবহুল একটি এলাকায় নিরাপদ থাকতে পারল না। সদ্য বিবাহিত মেয়েটির হাত থেকে হয়ত মেহেদির দাগ শুকায়নি। বিশ বছর বয়সী মেয়েটি স্বামী থাকা অবস্থাতেও গণধর্ষিত হল।
গতকালের ধর্ষনের বিচার হয়নি। আজকের ধর্ষনের বিচার হবে না।
আগামীকাল ঘরে ঢুকে ঢুকে পরিবারকে বেধে মেয়েদের ধর্ষন করা হবে।
ভিকটিম হয়ত হবে আপনারই পরিবার।