দিলোয়ার হোসাইন:
বানিয়াচংয়ে পল্লী বিদ্যুতের লাগামহীন নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে স্থানীয় ভুক্তভোগী গ্রাহক।
সরকারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা বলা হলেও এর সুফল হতে বঞ্চিত বানিয়াচংবাসী। এ সমস্যা নিরসনে সাধারণ গ্রাহকদের পক্ষ থেকে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন বরাবর বারবার হস্তক্ষেপ কামনা করা হলেও সকলেই যেন চুপ ও নির্বিকার।
পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে সীমাবদ্ধতার মাঝেও আমরা প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ বিতরণ করছি কিন্তু বাস্তবচিত্র এর বিপরীত বলে মন্তব্য এলাকাবাসীর।
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় সারা বছরই থাকে পল্লীবিদ্যুৎতের ভেল্কিবাজি। চলছে গ্রীষ্মের তাপদাহ ও নামাজের সময় এবং গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বানিয়াচং জুড়ে লোডশেডিং অব্যাহত রয়েছে। বছরের সারা মাসে বিদ্যুৎতের ভেল্কিবাজিতে এমনিতেই অতিষ্ট বানিয়াচংবাসী। দিনের বেশির ভাগই বিদ্যুৎ থাকেনা,সন্ধ্যা নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে চলছে অনবরত বিদ্যুতের যাওয়া-আসা । প্রচন্ড গরমে সারাদিন বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিং ও অতিরিক্ত ভ্যাপসা গরমের কারণে জনজীবন অসহনীয় হয়ে উঠছে। রাতে দীঘর্ক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষ গরমে নিন্দ্রাহীন অবস্থায় রাত্রী পার করছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছে ছোট ছোট শিশু ও বয়স্ক মানুষ। একদিকে প্রচন্ড গরমের সঙ্গে বানিয়াচং জুড়ে চলছে নতুন নিয়মে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হওয়া ছাড়াও অফিস আদালতে কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে। শিশু-বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে নানা জটিল অসুখে। গত একমাসে দৈনিক গড়ে ১২ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছে না বলে দাবি এলাকাবাসী। মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং এর সাথে যদি কালবৈশাখীর একটু বাতাস হয় তবে বিদ্যুতের আর কোন দেখা মিলে না। কখনো অঘোষিত গাছ কাটার অজুহাত, কখনো রক্ষণাবেক্ষণ, কখনো সামন্য বাতাস হলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন, রাতের পর রাত বিদ্যুৎ আর আসে না। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় যেন বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি।