আনিসুর রহমান মাধবপুর(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের মাধবপুরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে “ আমার বাড়ি আমার খামার”
প্রকল্পের অধিনে কৃষকদের ৩ দিন ব্যাপি প্রশিক্ষন কর্মশালা সমাপ্ত হয়েছে।
এলজিইডি বাস্তবায়নাধীন সিলেট বিভাগ গ্রামীন এ্যাকসেস সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প
(আরএআরআইপি) এর “আমার বাড়ি আমার খামার ” বিষয়ক প্রশিক্ষন কোর্স মাধবপুর
উপজেলার আদাঐর ইউনিয়ন পরিষদ কার্য্যালয়ে গত ২৭ অক্টোবর থেকে এ প্রশিক্ষন
কর্মশালা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার(২৯ অক্টোবর) সমাপ্ত হয়। মাধবপুর উপজেলার ৩
টি ইউনিয়ন থেকে ২৫ জন কৃষক অংশ গ্রহন করে। পরবর্তীতে এ প্রকল্পের আওতায়
হবিগঞ্জ জেলার প্রতিটি সংসদীয় আসন হতে তালিকাভূক্ত ২০০ জন কৃষক কে
পর্যায়ক্রমে সবজি চাষ, হাঁস-মুরগী পালন, গরু মোটা-তাজাকরণ, গাভীপালন,
আধুনিক পদ্ধতিতে পুকুরে ও প্লাবন ভূমিতে সমাজভিত্তিক মাছ চাষ ছাড়াও
সামাজিক সচেতনতা ও ক্রস কাটিং ইস্যু বিষয়ে চাহিদা মোতাবেক বিষয়ভিত্তিক
প্রশিক্ষণ গ্রহন করবেন।
প্রশিক্ষনের সমাপনী দিনে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ
জুলফিকার হক চৌধুরী, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু আসাদ ফরিদুল হক, আদাঐর
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক পাঠান,এলজিইডি মাধবপুর অফিসের হিসাব
রক্ষন কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ,বাসা এনজিও প্রকল্পের নিবার্হী পরিচালক
মোখলেছুর রহমান, আরএআরআইপি প্রকল্পের (এমএমসি) পার্টের হবিগঞ্জ ও
মৌলভীবাজার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী মোঃ শফিকুল ইসলাম
প্রমুখ।
একই দিন জেলার লাখাই উপজেলার বুল্লা সিংহ গ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই
প্রকল্পের অধিনে ২৫ জন কৃষককে প্রশিক্ষন দেওয়া কোর্স সম্পন্ন করা হয়।
বক্তারা বলেন, প্রকল্পটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হাওর বেষ্টিত
সিলেট বিভাগের ৪টি জেলা (সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভিবাজার ও হবিগঞ্জ) এর
৩৯টি উপজেলায় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (ওংউই) এবং বাংলাদেশ সরকারের
যৌথ অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের লক্ষ্য ও
উদ্দেশ্য হলো সিলেট বিভাগের গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামোগত উন্নয়নের
পাশাপাশি গ্রামীণ বাজার ব্যবস্থাপনা কাঠামোকে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে
সরকারের দারিদ্র বিমোচন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহযোগিতা করা, তথা প্রকল্প
এলাকার জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়ন এবং দারিদ্রতা হ্রাসকরণ। উক্ত
প্রকল্পের আওতায় টার্গেট গ্রুপের (এলজিইডি কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ইউনিয়ন
পরিষদের চেয়াম্যান ও সদস্যবৃন্দ, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ,
কৃষক এবং এলসিএস নারী ক্রু) সক্ষমতাবৃদ্ধি এবং জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে
চাহিদা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।