১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ৯ মাস রক্তগঙ্গা পেরিয়ে গোটা জাতি যখন উদয়ের পথে দাঁড়িয়ে, ঠিক সেই সময়ই রাতের আঁধারে পরাজয়ের গ্লানিমাখা পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বেছে বেছে হত্যা করে।
বিজয়ের মাত্র দুইদিন আগে এই দিনে দেশকে মেধাশূন্য করার পূর্বপরিকল্পনা নিয়ে ঘর থেকে তুলে নিয়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বাঙালি জাতির সেরা শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিত্সক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীসহ দেশের বরেণ্য কৃতী সন্তানদের।
ডিসেম্বরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময়ে বাঙালির বিজয় যখন সুনিশ্চিত তখন বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের একের পর এক হত্যা করা হয়।
শিক্ষক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ বেছে বেছে জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যা করে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের তখন চূড়ান্ত পর্যায়।
হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী তখন প্রায় পর্যুদস্ত। তখনি ১০ থেকে ১৪ই ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তালিকা ধরে বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘৃণ্যতম অপকর্মটি করে ঘাতক চক্র।
শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন সিলেট জেলার পক্ষ থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে শহীদ বুদ্ধিজীবী সৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
এসয় উপস্থিত ছিলেন আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন সিলেট জেলার সভাপতি মোঃ জিল্লুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোজ কপালী মিন্টু,আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন সিলেট জেলার সহ-সভাপতি এম জাহিদ আহমদ রেজা, আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন সিলেট জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলীনূর রহমান নয়ন,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়ামিন তালুকদার, স্বাস্থ বিষয়ক সম্পাদক সাহিদা বেগম, দপ্তর সম্পাদক মান্না কাওসার সুমন,আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক শায়েস্তা তালুকদার, রফিক উদ্দিন, বাবুল মিয়া, জাবেদ সহ সকল নেতৃবৃন্দ।