বিদ্বেষী নয়।ধর্মকে কেউ রাজনীতির হাতিয়ার বানাবেন না।কোনো অবস্থাতেই ধর্মের নামে বিশৃঙ্খলা করতে দেব না।
নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যেন অসাম্প্রদায়িক চেতনা ভুলন্ঠিত হতে না দেই।নতুন প্রজন্ম তোমরা লাল-সবুজ পতাকার অসম্মান হতে দিও না। তোমাদের পূর্বপূরুষদের বিজয়-নিশান সমুন্নত রাখার শপথ নাও। প্রতিজ্ঞা করো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে এ দেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করবে।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিজয় দিবস উদযাপনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা করোনা ভাইরাস মহামারি মোকাবেলা করে সমগ্র বিশ্বের বুকে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, প্রমত্তা পদ্মার বুক চিরে নিজেদের অর্থায়নে নির্মাণাধীন পদ্মাসেতু মাত্র সপ্তাহ খানেক আগে দেশের দুই প্রান্তকে সংযুক্ত করেছে। পৃথিবীর বুকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার প্রত্যয় নিয়ে দেশ এবং দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশের সকল নাগরিককে আমি বিজয় দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ কারও দয়া বা করুণার ওপর নির্ভরশীল নয় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশ আজ একটি সমীহের নাম। আজকের বাংলাদেশ আর অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর বাংলাদেশ নয়। আজকের বাংলাদেশ স্বাবলম্বী বাংলাদেশ। একটা সময় ছিল আমাদের উন্নয়ন বাজেটের সিংহভাগ আসতো বিদেশি অনুদান থেকে। আজ বাজেটের ৯৭ ভাগ মেটানো হয় নিজস্ব অর্থায়নে। বাংলাদেশ কারও দয়া বা করুণার ওপর নির্ভরশীল নয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার। আমরা তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। তবেই ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন ভিক্ষুক জাতিকে কেউ সম্মান করে না। আমরা বাংলাদেশের সেই দুর্নাম ঘুচিয়েছি।