নিজস্ব সংবাদদাতা :
সড়ক আইনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিআরটিএর অনুমোদনবিহীন টমটমে (ইজি বাইক) সয়লাব হয়ে যায় সিলেট শহর। মেয়াদউত্তীর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার বহনকারী ইজি বাইক সড়কে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে বেপরোয়া চলাচল করে। তিনচাকার অবৈধ এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযানে নামে ট্রাফিকপুলিশ ও সিটিকর্পোরেশন। পর্বর্তীতে অভিযানে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় টমটম সমিতির হাইকোর্টের একটি রীট। বিষয়টি তুলে ধরে গত ১৮ ডিসেম্বর কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
তখন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক ডিসি) ফয়সল মাহমুদ পুনরায় টমটমের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৫ জানুয়ারি) ক্বিংব্রীজের দক্ষিণ প্রান্তে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সরকার অনুমোদনবিহীন ১২টি টমটমসহ ৩০ থেকে ৪০টি অবৈধ যানবাহন জব্দ করা হয়। আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় যানবাহনের বিরুদ্ধে, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট না থাকায় চালক কে অর্ধশতাধিক মামলা দেয়া হয়।
বিকেলে এ আনুমানিক হিসেবটি প্রদান করেন কয়েকজন সার্জেন্ট ও টি আই। সঠিক হিসেব সন্ধার পর নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত টি আই আবু বক্কররের কাছে পাওযা যাবে বলে বলা হয়। দু দফা আবু বক্কররের সাথে কথা হলে তিনি ট্রাফিকের এডিসির সাথে কথা বলতে পরামর্শ দেন। এডিসি জ্যোতির্ময় সরকারকে রাত ৯টায় ফোনকল দিলে এডিসি মিডিয়ার মাধ্যমে গণমাধ্যমকে মেইলে জানিয়ে দেয়া হবে বলে তিনি জানান। এ প্রতিবেদন রাত সাড়ে ১১টায় লেখা পর্যন্ত মেইল না আসায় অভিযানের সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
সোমবার দিনভর বিশেষ অভিযানে ট্রাফিকপুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আসিদুর রহমানের নেতৃত্বে দায়িত্বপালন করেন টি আই হাবিব, আবুল কামাল, সার্জেন্ট শামীম আহমেদ, এন আলম, সুবীর তালুকদার, টি এস আই আকবর আলীসহ অন্যান্যরা।
অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ট্রাফিকপুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আসিদুর রহমান।
সিলেট শহরে চলাচলকারী অবৈধ ইজি বাইক দ্রুত বৃদ্ধিতে যেমন সৃষ্টি করে যানজট তেমনি ঘটনায় দুর্ঘটনা। প্রশাসন ধরপাকড় শুরু করলে হাইকোর্টে রীট (নং- ৯৫৩২/১৫) করে সড়কে টমটম চলাচল করে। ফলে সিটিকর্পোরেশন ও ট্রাফিকপুলিশ পড়ে বেকায়দায়। গত বছরের ৯ আগস্ট সেই রীটের মেয়াদ শেষ হয়।
হাইকোর্টে রীটকারী ইউসুফ খাঁন এ প্রতিবেদক কে জানান, করোনাকালীন পরিস্থিতির কারনে রীটের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য মহামান্য হাইকোর্টে আবেদন করতে কালক্ষেপণ হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি আরেকটু স্বাভাবিক হলে তারা হাইকোর্টে যাবেন বলে জানান।