শিরোনাম
ধর্মপাশায় সংবাদ সম্মেলন করে মোঃ আবুল বাশারের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীতা ঘোষণা মাহে রমজানের দ্বিতীয় দশ দিন মাগফিরাতের শ্রীমঙ্গলে জাতির পিতার ১০৪-তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত সালাতুত তাসবিহ গোনাহ মাফের সর্বোত্তম ইবাদাত! চুনারুঘাটে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার সিলেটে হিন্দু রেস্তোরাঁতে ছাত্রলীগের হামলা ৭ এপিবিএন এর তৎপরতায় ৩,৫১,১৬০ টাকা ফিরে পেলেন রেমিট্যান্স যোদ্ধা ২০০ সাইক্লিং সেঞ্চুরি সম্পন্ন করলেন কুলাউড়ার ‘সুপ্রিয়’ মানব পাচার চক্রের মূল হোতা শাহীন ও সাইদুর ৭এপিবিএন এর হাতে আটক সালাম মুর্শেদী গুলশানের বাড়ি অপহরণ করেছেন;ব্যারিস্টার সুমন
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০১:০৮ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

৮৮.৪৫ বর্গ কি:মি: বন বিভাগ যেখানে করাতকলের সংখ্যা ১০১, অবৈধ ০২ শতাধিক

Coder Boss / ২৮১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১

মোঃ মশিউর রহমান, টাংগাইল জেলা প্রতিনিধিঃ

টাংগাইলের ঘাটাইল উপজেলায় বন কর্মকর্তাদের তালিকা অনুযায়ী সংরক্ষিত বনে করাতকলের সংখ্যা মাত্র ১০১টি অথচ স্থানীয়দের দাবী অবৈধ করাতকলের সংখ্যা প্রায় দুই শতাধিক।

ঘাটাইল উপজেলায় মাত্র ০৬ টি বিট অর্থাৎ বটতলী, ঝড়কা, চৌরাসা, দেওপাড়া, ধলাপাড়া ও সাগরদিঘী এসবই ধলাপাড়া রেঞ্জের আওতায় এই রেঞ্জের আওতাধীন বন বিভাগের পরিমান প্রায় ৮৮.৪৫ বর্গ কি:মি: এবং ৪৯ টি মৌজায় বন বিভাগের সংরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২৯ হাজার ১০৬ একর।

বনের ভিতর অবৈধ করাতকল আছে বলেই কাঠ চোরেরা সংঘবদ্ধ ভাবে সামাজিক বনায়নের গাছ রাতের অন্ধকারে কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে, অথচ দেখবাল করার কেহ নেই সেখানে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বেড়ে যাওয়া প্রভাবশালী ব্যক্তি, বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কাঠ ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় অবৈধ করাতকল পরিচালিত হয়, এমনটাই ছিলো এলাকাবাসীর অভিযোগ। সংঘবদ্ধ কাঠ চোরদের কারো কারো করাত কল রয়েছে আবার কেউ অংশীদার অর্থাৎ করাতকল মালিক ও কাঠ চোররা মিলেমিশে সংরক্ষিত বনগাছ নিধনের কাজে নিয়োজিত আছে এমন অভিযোগও তোলেন এলাকাবাসী।

আর এই বিশাল বনভূমিতে রয়েছে শাল, সেগুন, গজারি সহ হরেক রকমের সামাজিক বনায়নের গাছ। বন আইনে সংরক্ষিত বন এলাকার ১০ কি:মি: এর মাঝে করাতকল স্থাপনের বিধি নিষেধ তো আছেই কিন্তু বিধি নিষেধ অমান্য করে সংরক্ষিত শাল গজারীর বন ঘেঁষে সামাজিক বনায়নের ভিতর অবৈধ করাতকল স্থাপন করা হয়েছে।

এসব করাতকলে অবাধে চিড়ানো হয়েছে শাল গজারীসহ সামাজিক বনায়নের কাঠ। স্থানীয় প্রশাসনের মৌখিক অনুমতি নিয়েই চলছে এসব করাতকল। বছরের পর বছর এসব অবৈধ করাতকল পরিচালিত হলেও স্থানীয় প্রশাসনের কোন অভিযান মিলছে না বলেই সংরক্ষিত বন এলাকা বিরান ভূমিতে পরিণত হতে চলেছে।

সংরক্ষিত বন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বটতলা, নলমা, ছনখোলা, মুন্সিগন্জ, কুশারিয়া, বোয়ালীহাটবাড়ী, পেঁচারআটা, গারোবাজার, মাকরাই, মাইধারচালা, কাজলা, দেওজানা, বগা, চাপড়ী, মানিকপুর, মোমিনপুর, শহরগোপীনপুর, ধলাপাড়া, সাগরদিঘী, জোড়দিঘী, মুরাইদ, লক্ষিন্দর, ফকিরচালা, সিংহেরচালা, দেওপাড়া, শিবেরপাড়া ও মালেঙ্গা এলাকায় বেশীর ভাগ অবৈধ করাতকলগুলো স্থাপন করা হয়েছে।

ঘাটাইল উপজেলায় মোট করাতকল রয়েছে ২০৩টি এরই মাঝে লাইসেন্স প্রাপ্ত করাতকল মাত্র ২৮ টি। অবৈধ্য করাতকলের কারণেই একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে নির্বিচারে বনগাছ কাটার কারণে বনভূমি উজাড় হচ্ছে। পৌর করাতকল মালিক সমিতির সভাপতি আঃ হালিম মিয়া অবৈধ করাতকল উচ্ছেদের জন্য দ্রুত অভিযানের দাবী জানান।

ধলাপাড়া রেঞ্জের আওতায় ১০১ টি অবৈধ করাতকল আছে বলে জানিয়েছেন ধলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম। এ বিষয়ে তিনি (সিরাজুল) আরো বলেন, এসব অবৈধ করাতকলের তালিকা স্থানীয় প্রশাসন ও উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে প্রদান করা হয়েছে, তাঁদের নির্দেশনা মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

টাংগাইল-০৩ আসনের ঘাটাইল উপজেলার বর্তমান এম.পি. আলহাজ্ব আতাউর রহমান খান, উপজেলা আইন শৃঙ্গলা কমিটি, উপজেলা বন কমিটি ও উপজেলা পরিষদের আলোচনা সভায় অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান চালানোর দাবী জানান।

বনের ভিতর স্থাপিত অবৈধ করাতকল বন্ধ করার বিষয়ে উক্ত আলোচনা সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম লেবু, অতিদ্রুত অবৈধ করাতকল উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জন কুমার সরকার জানান, বনের ভিতর স্থাপিত অবৈধ করাতকল উচ্ছেদের জন্য দ্রুত অভিযান পরিচালনা করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন