সত্যজিৎ দাস,সংবাদ প্রতিনিধি:
বৃহত্তর সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদার বাহুবল উপজেলার সকলকে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, মহান সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে কোরবানীর মতো মহান ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল আযহা। সৃষ্টিকর্তার প্রতি অপার আনুগত্য এবং তারই রাহে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের এক ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে মুসলিম বিশ্বে ঈদ উল আযহা উদযাপিত হয়ে আসছে।
হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শ্যের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে প্রতি বছর পশু কোরবানি দিয়ে থাকে বিশ্বের লক্ষ কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আগামী (২১ জুলাই ২০২১) পবিত্র ঈদ উল আযহা। পবিত্র ঈদ উল আযহা হিংসা-বিদ্বেষ পেছনে ফেলে ঈদ সবার জন্য সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও আনন্দ নিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।
ঈদ মুসলমানদের জন্য এক আনন্দঘন দিন। এ আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, সারা বাংলায়। ঈদ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন। শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যময় সমাজ গঠনে ঈদ উল আযহার অবদান তাই চিরন্তন।
ঈদ উল আযহা ত্যাগের মহিমা শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সমৃদ্ধ সমাজ। ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয় মন্তব্য করে স্নিগ্ধা তালুকদার বলেছেন, ‘ হিংসা ও হানাহানি ভুলে মানুষ সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে ঈদ উল আযহার ত্যাগের শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক ঈদ উল আযহা। মহান সৃষ্টিকর্তার আনুগত্য ও আত্নত্যাগের চূড়ান্ত নজির এই কোরবানি ।
ঈদ উল আযহা সকলের জীবনে বয়ে আনুক সুখ সমৃদ্ধি ও শান্তি শুভেচ্ছা বার্তার পর তিনি বাহুবল উপজেলার বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও আজ করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত,থামছেনা করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু। এই কোভিড-১৯ এখন ডেল্টা রূপে পরিবর্তন হয়েছে,তাই সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। ঈদ উপলক্ষে নিজ নিজ এলকার বাইরে না গিয়ে আশেপাশের প্রতিবেশীর সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করুন ও অসহায় হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়ান। যেখানে পশু কোরবানি দিবেন,কোরবানির পরপরই সেই জায়গা ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে,বাসা/বাড়ীর কোথাও জল জমে আছে কিনা,তা লক্ষ্য রাখতে হবে, বাড়ি ঘরের আঙিনা পরিস্কার রাখতে হবে। যাতে ডেঙ্গু মশা(এডিস) জন্ম ও বৃদ্ধি না হয়।
সর্বোপরি পরিষ্কার,পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। নিজেরা সচেতন না হলে এই করোনা ও ডেঙ্গু রোধ করা একা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
“স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন,সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান করুন,নিজেও সুস্থ থাকুন,অন্যদেরও নিরাপদ রাখুন “