আহসান হাবীব,স্টাফ রিপোর্টারঃ
মানিকগঞ্জ জেলার কৃতিসন্তান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার। তার নতুন কর্মস্থল লক্ষীপুর জেলা। তিনি নিজের দক্ষতা ও দূরদর্শিতা দিয়ে একের পর এক ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কে এম আল আমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার কৃতি সন্তান মেহের নিগার । তিনি ঢাকার সাভারে বসবাসরত অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ খানের কন্যা।পারিবারিক জীবনে তার স্বামী একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে যোগদান করেন মেহের নিগার।পরবর্তীতে ৩০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দেন। ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেন। বিজয়নগরে দায়িত্ব নেওয়ার আগে মেহের নিগার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ইউএনও হিসেবে যোগদানের পর সর্বদাই তিনি নিজের সেরাটা দিয়ে প্রশাসনের সব কাজের পাশাপাশি মানুষের জন্য কাজ করেছেন বিরামহীনভাবে। এছাড়া বিভিন্ন বাঁধা উপেক্ষা করে তিনি সাহসিকতার মধ্য দিয়ে সৃষ্টিশীল ও ব্যতিক্রমী কর্মযজ্ঞ করে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেন। এ কারণে অল্প সময়ে সর্বমহলে প্রশংসিত হন মেহের নিগার।
করোনাকালীন সময়ে সাহসী পদক্ষেপের কারণে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। নিজে গর্ভাবস্থায় থেকেও তিনি দিন রাত করোনা যুদ্ধে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। নিজের ও অনাগত সন্তানের কথা চিন্তা না করে দেশ মাতৃকার তরে জনগনের বিপদের দিনে নিজেকে এবং তার অনাগত সন্তানকে উৎসর্গ করে ঝাঁপিয়ে পরেছিলেন। এর ফলে তিনি সাধারণ জনগনের কাছে তার কাজের জন্য ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিলেন। তিনি সর্বদায় পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি মানবিক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন উপজেলার মানুষের কল্যাণসহ নাগরিক সেবা শত ভাগ দেয়ার জন্য।
মেহের নিগার বলেন, পদোন্নতি কাজ করার বড় সুযোগ। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া দায়িত্বকালীন সময়ে সব শ্রেণিপেশার মানুষের আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছি। নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর জন্য সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছি। যেখানেই দায়িত্ব পালন করি না কেন ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর কথা মনে থাকবে আমার আজীবন।