রাজা মিয়া রাজ:
প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের ওসমানীরে সরকার দলীয় সাংসদ ও স্হানীয় পরিষদে সরকার দলের জনপ্রতিনিধি না থাকায় মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর স্মৃতি বিজড়িত ওসমানী নগরের দয়ামীর ইউনিয়ন সহ বেশ কিছু এলাকায় সরকারি বরাদ্দ ছাড়াই ব্যক্তি উদ্যোগে সংস্কার হচ্ছে অধিকাংশ রাস্তাঘাট।
এক যুগে ও যেসকল রাস্তা ঘাটে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নি,সেখানে আজ সিসি ঢালাই,সলিং ও মাটি ভরাট নানামুখী উন্নয়নে অবদান রাখছেন ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের বাসিন্দা,শিক্ষানূরাগী মনজুর আহমদ।
ইতিপূর্বে জানা গেছে,তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগ নেওয়ার সাথে সাথে এলাকার অনেক বৃত্তশালীরা ও এগিয়ে এসেছেন।
২০২০-২০২১ সালে প্রায় দশটি রাস্তা ইটসলিং,সিসি ও মাটি ভরাট করতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি কোনো জনপ্রতিনিধি নয়,হতে ও চান নি,তার পিতা মরহুম ডাক্তার জমির আহমদ ছিলেন একজন দেশ প্রেমিক! জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সমাজের কল্যাণে কাজ করেছেন।
যে কালে বিশ্বনাথ ওসমানীনগরে কোনো স্হায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না ঠিক সেই সময়ে জমির আহমদ বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
এছাড়া দৌলতপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের ভূমি দান,আয়েশা আহমদ হাফিজিয়া মাদ্রাসা,সড়কে যাত্রী চাউনি সহ বেশ কিছু উল্লেখ যোগ্য কাজ করে গেছেন।
মৃত্যুর পর তার ছেলে বাবার হাল ধরে রাখতে সমাজে এগিয়ে এসে দয়ামীর ইউনিয়নের সবচেয়ে অবহেলিত গ্রাম শরিষপুর,দৌলতপুর,খাইয়াখাইড়,পারকুল সহ বেশ কিছু এলাকায় প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে করে দিচ্ছেন রাস্তা সংস্কার,গার্ড ওয়াল,মসজিদ নির্মাণ সহ নানা সামাজিক উন্নয়ন।
এলাকা ঘুরে জানা যায়,বর্তমানে রাস্তা ঘাটের জন্য চরম দূর্ভোগে সাধারণ মানুষ! নির্বাচনি এলাকার সংসদ সদস্য সহ কাউকেই চোখেই দেখেন একদিন,দারস্থ হলে নানা অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যান তারা। তাদের কষ্ট দেখার যেন কেউ নেই!
অবশেষে এগিয়ে আসেন মনজু,তিনি জানান,বিশ্বনাথ ওসমানীনগর এতটা অবহেলিত ছিল না,বিগত সময়ে সরকার দলীয় সাংসদ ও স্হানীয় পরিষদে জনপ্রতিনিধি থাকায় কিছু উন্নয়ন হয়েছে ,কিন্তু বর্তমানে উন্নয়ন বলতে কিছুই নেই! মানুষের কষ্ট দেখে ঘরে থাকতে পারিনি,তাই চেষ্টা করছি সমাজের চিত্র কিভাবে বদলে দেওয়া যায়।
এজন্য সবার সহযোগিতা ও কামনা করেন তিনি।