সিলেট নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর, বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম নেতা ডাঃ শফিকুর রহমান বলেছেন, মুসলমানদের আদি পিতা হযরত ইব্রাহিম (আ:) মহান মাবুদের নির্দেশ ও সন্তুষ্টির লক্ষ্যে প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ:) কে কুরবানী দেয়ার যথার্থ প্রস্ততি গ্রহনের মাধ্যমে মহান মাবুদের দরবারে নিজেকে উপস্থাপন করেছিলে; ইসলামী আন্দোলনের একজন সদস্য হিসেবে নিজেদেরকেও ঠিক তদ্রুপ মহান মাবুদের সন্তুষ্টির লক্ষ্যে ত্যাগ ও কুরবানীর সর্বোচ্চ নজরানা পেশ করতে হবে। পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে আখেরাতে জবাবদিহির অনুভুতি নিয়ে নিজেদের সকল দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। কুর’আন, হাদিস ও ইসলামী সাহিত্যের বিশাল সাম্রাজ্যে ডুব দিয়ে ইসলামের অগাধ জ্ঞান অর্জনে নিষ্ঠার সহিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। নিজেদেরকে সমাজে সত্যের সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপন করে আমলি দাওয়াতের মাধ্যমে নিজেদের পরিবার-পরিজন ও সমাজে দ্বীনের দাওয়াত তুলে ধরতে হবে। বঞ্চিত মানবতার কল্যানে সব সময়ই কাজ করে যেতে হবে। তিনি শাহজালাল রহ: স্মৃতিধন্য সিলেট জেলা দক্ষিনের প্রতিটি পাড়া মহল্লা গ্রামে ইসলামী আন্দোলনের মডেল ইউনিট গড়ে তুলতে সম্মেলনে তিনি জামায়াত সদস্যদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি ৪ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সিলেট জেলা দক্ষিন জামায়াতের সদস্য সম্মেলনে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেট জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরাসদস্য অধ্যাপক আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি নজরুল ইসলামের পরিচালনায় সম্মেলনে মহাগ্রন্থ আল কুর’আন থেকে দারস পেশ করেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সিলেট অঞ্চল পরিচালক এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরাসদস্য ও সিলেট অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান।
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর কেন্দ্রীয় শুরাসদস্য মাওলানা লোকমান আহমদ, জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা ফারুক আহমদ, সাইফুল্লাহ আল হোসাইন, হাফিজ নাজমুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ ও শুরা সদস্য হাকিম নাজিম উদ্দিন, সোলাইমান আলী, আব্দুস সাত্তার, জেলা শ্রমিক কল্যানের সহ সভাপতি রেহান উদ্দিন রায়হান সহ সকল শাখার আমীর নায়েবে আমীর, সেক্রেটারি এবং সকল সদস্যবৃন্দ।