আহসান হাবীব স্টাফ রিপোর্টারঃ-
গত ১০ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হলো নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার ১নং চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, নির্বাচনে হেরে যান চেয়ারম্যান প্রার্থী তরিকুল ইসলাম (নৌকা প্রতিক)। বিপুল ভোটে বিজয়ী হোন এডভোকেট ওমর ফারুক (আনারস) এরপরই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে আনারস প্রতিকের সমর্থকদের বাড়ি ঘরে হামলা চালান নৌকা প্রতিকের সমর্থকরা।
এর আগে গত শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চর হাসান ভূঁইয়ারহাট বাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর ফারুকের মোটরসাইকেল শোডাউনে হামলা চালান নৌকা সমর্থকরা, এসময় লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এডভোকেট ওমর ফারুকের গাড়ি বহরে হামলা চালান তারা। এতে ১২ জন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় ২০টি মোটরসাইকেল। সহিংসতা থামাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) চরজব্বর ইউনিয়নে চররশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মোঃ রাসেল নামের এক মাইক্রো চালককে মারধর ও তার মাইক্রো ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে নৌকা সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
মোঃ রাসেল জানান, আমি সকাল বেলা সোনাপুর থেকে যাত্রী নিয়ে চরজব্বর ইউনিয়নের চররশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গেলে শাহ আলম,শাহ আলমের বাবা,শাহ আলমের বোন,আরো ৫/৬ জন সন্ত্রাসী লোহার রড, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার গাড়িতে হামলা করে, আমাকে মারধর করে আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়, আমার অপরাধ আমি আনারস প্রতিকের প্রার্থী এডভোকেট ওমর ফারুক এর ভোট করছি, এঘটনা চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে জানাইছি, এবং মামলা করার জন্য থানায় যাবো।
এঘটনায় অভিযুক্তদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এই নিউজ লেখার আগ পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চরজব্বার থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।