নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সিসিকের এর ১১ নং ওয়ার্ডের কুয়ারপাড়-লালাদীঘির পাড় এলাকায় সিলেট সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে পানি নিষ্কাশন ও আবর্জনা অপসারনের জন্য ১কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ চলছে। অন্যদিকে আধুনিক ড্রেন নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ও এলসির পাথরের সাথে ময়লা কংক্রিট।
এব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ নেতা ইমন আহমদ সাম্রাজ ও সিলেট জেলা তাঁতি লীগের সিনিয়র সদস্য শাকিল খান, জামিল আহমদ, আফজাল আহমদ শুভ সহ এলাকাবাসী জানান , মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ,কে আব্দুল মোমেন এর নির্দেশে সিলেট সিটি করপোরেশন আর্থিক সহযোগিতায় আমাদের ১১ ওয়ার্ডের রাস্তা ও ড্রেন প্রস্থ করন কাজ শুরু হয়।
গতকাল ২১ ফেব্রুয়ারী নির্মান কাজে ব্যবহৃত এল,সির পাথরগুলো দেখে আমাদের সন্দেহ হলে আমরা পাথর গুলো সরিয়ে দেখি,উপরে ভালো এলসির পাথর দিয়ে নিচে অব্যবহার যোগ্য ময়লা কংক্রিট মিক্সিং করে রাখা হয়েছে। তাৎক্ষণিক সিলেট জেলা ছাত্রলীগ নেতা ইমন আহমদ সাম্রাজ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও আপলোড দেন। এতে শুরু হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। পরবর্তী তে ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রকিবুল ইসলাম ঝলক এসে কাজ বন্ধ করে দেন।
২২ ফেব্রুয়ারী পুনরায় একই রকমের এলসির পাথর অব্যবহার যোগ্য ময়লা কংক্রিট মিক্সিং করে কাজ শুরু হলে ১১ নং এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগের পর সরজমিন প্রতিবেদন কালে এর সত্যতা পাওয়া যায়। এসময় ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রকিবুল ইসলাম ঝলকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,২১ ফেব্রুয়ারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে আমি সরজমিন পরিদর্শন করে অনিয়মের সত্যতা নিশ্চিত হই। তাৎক্ষণিক আমি কাজ বন্ধ করে দেই। আজ আবার পুনরায় কাজ চালু হয়েছে আমার জানা নেই।
অনুসন্ধান কালে ঘটনাস্থলে সিটি করপোরেশনের ইঞ্জিনিয়ার, কন্ট্রাকদার,কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় নি।কিছুক্ষণ পরে সেখানে হাজির হন কাউন্সিলর রকিবুল ইসলাম ঝলক,তিনি এসে আবার দ্বিতীয় দফা কাজ বন্ধ করে দেন। এরপর বিকালে কন্ট্রাকদার সাইফুল ইসলাম সনি ও সিসিকের লোকজন ট্রাকে করে পাথর গুলো সরিয়ে নিয়ে যান। এলাকাবাসী জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন সিটও কর্পোরেশনের অনুমতিতে সরানো হচ্ছে।
সরকারি অর্থায়নে ১কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে লালা দীঘির পাড়- কুয়ার পাড়ের দু-পাশে আধুনিক ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মান কাজের তদারকী করছেন সিসিক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সিসিক থেকে ড্রেন নির্মাণের কাজ সঠিক ভাবে তদারকী না করার কারনে নির্মাণ কাজে যেমন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা হচ্ছে পাশাপাশি কাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফলতি র কারনে এসব অনিয়মের সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহলের অভিযোগ।
এব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে যোগাযোগ করা যায় নি