কলকাতা প্রতিনিধিঃ
মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর উদ্যোগে, রবীন্দ্র সদন ও নন্দন চত্বরে সাহিত্য উৎসব ও লিটল ম্যাগাজিন মেলার শুভ সূচনা হলো।
এই মেলা চলবে 23 শে ফেব্রুয়ারী থেকে 27 শে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত, প্রতিদিন দুপুর দুটো থেকে রাত্রি আটটা পর্যন্ত মেলা দর্শকদের জন্য খোলা থাকবে ,এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন 350 টি লিটিল ম্যাগাজিন স্টল এবং 500 জন কবি-সাহিত্যিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
মেলার শুভ সূচনা করেন মৃদুল দাশগুপ্ত অনিতা অগ্নিহোত্রী। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইন্দ্রনীল সেন তথ্য সংস্কৃতি এবং পর্যটন বিভাগ পশ্চিমবঙ্গ সরকার, ব্রাত্য বসু সভাপতি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমি এবং বিদ্যালয় শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
এছাড়া ছিলেন কবি আবুল বাশার ,শ্রীজাত বন্দোপাধ্যায়, প্রচেত গুপ্ত, সুবোধ সরকার, জয় গোস্বামী ,বাসুদেব ঘোষ এবং অন্যান্য কবি-সাহিত্যিকরা, সাহিত্য ও লিটিল ম্যাগাজিন এর একতারা মঞ্চে প্রতিদিন থাকছে গল্প ,কবিতাপাঠ, আলোচনাসভা, প্রদর্শনীয়, গ্রন্থ প্রকাশ, উদ্বোধন মঞ্চে বেশ কয়েকটি লেখকের এর বই প্রকাশিত হলো এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্রের 125 তম জন্মদিন উপলক্ষে শংকরী প্রসাদ বসু একটি নেতাজির উপর বই এর শুভ সূচনা এই প্রথম আলো।জানালেন অতি শীঘ্রই তারা আরো কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়ে যাবে।
মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী জানান প্রতিবছরের লিটিল ম্যাগাজিন মেলা জানুয়ারি মাসে শুরু হয় কিন্তু করণা আমাদের সমস্ত প্রোগ্রাম পিছিয়ে দিতে বাধ্য করিয়েছে তাই অতি অল্প সময়ের মধ্যে আমরা আজ শুভ উদ্বোধন করতে পারায় , আমরা ধন্যবাদ জানাবো পশ্চিমবঙ্গ বাংলা একাডেমির সকল সদস্যদের, সকল দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসারদের, এবং যারা এই কম সময়ের মধ্যে এরকম সুন্দর একটা মেলার পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন, তাদেরকে সকল কর্মচারীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
আরো বলেন এই লিটল ম্যাগাজিনের হাত ধরেই বহু লেখক, লেখিকা তাদের বইয়ে লেখা প্রকাশ করেছেন, এখান থেকেই তাদের যাত্রা শুরু, তেমনি অনেক নতুন প্রজন্ম, পুরানো প্রজন্মের কবি-সাহিত্যিকরা এই ম্যাগাজিনের হাত ধরেই তারা অন্য জগতে পা রেখেছেন এবং তাদের নাম প্রচারিত হয়েছে, বেশ কয়েকটি কবি ও সাহিত্যিক এর নাম তুলে ধরেন যারা এই লিটিল ম্যাগাজিন থেকে আজ বড় কবি, সাহিত্যিক ও লেখক হয়েছেন ।
তার সাথে সাথে ধন্যবাদ জানান সমস্ত সংবাদমাধ্যমকে এবং সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের এই ধরনের মেলাকে মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য।
রিপোর্টার, কলকাতা থেকে শম্পা দাস ও সমরেশ রায়