কাঠালিয়া প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় অটোচালক হাবিবুর রহমান আত্মহত্যা করছেন নাকি তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে তাই নিয়ে পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে প্রশ্ন উঠেছে।
হাবিবুর রহমানকে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে পরিবারের সদস্যদের কাছে মৃত্যুর পূর্বে দেওয়া বক্তব্যের অডিও রেকর্ডে হত্যার আলামত মিলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া আওরাবুনিয়া বাজার সংলগ্ন বালুর কেল্লার যেস্থানে অটোচালক হাবিবুর আশংকাজনক অবস্থায় পরে ছিলো সেখান ২টি বীষের বোতল পড়ে থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে হত্যার বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।
তবে কাঠালিয়া থানা পুলিশ হাবিবুর রহমান বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে। আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের স্বজনরা এসব অভিযোগ করেছে।
মৃত্যু হাবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ তানভির জানায়, পেশাদার অটোচালক হিসাবে বিভিন্ন সময় চলার পথে পূর্বছিটকী গ্রামের রব হাওলাদারের ছেলে ও ইউপি চেয়ারম্যানের গনিষ্ট মোঃ হাচান ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকাপয়সা হাতিয়ে নিত।
গত বুধবারে বখাটে হাচান আমার বাবা পকেট থেকে ৪হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এব্যাপারে চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিলে হাচান ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাবাকে বাজার থেকে কিছুটা দূরে নিয়ে জোরপূর্বক বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে।’’
মৃত হাবিবুর রহমানের জামাতা মোঃ শামীম বলেন, ‘‘বাজার থেকে খবর পেয়ে আমি দ্রুতো ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার শ্বশুরের তার হাতের কাছে দুটি বিষের বোতল পরে থাকতে দেখি। তখন আমিসহ উপস্থিত কয়েকজন তাকে চিকিৎসার জন্য অটোতে তুলে হাসপাতালে নেয়ার পথে দেয়া বক্তব্য শুনে আমরা তাকে হত্যার সন্দেহ করছি।
মৃত্যুর পূর্বে সকলের সামনে তিনি আহাজাড়ি করে বলেন ‘আমার মৃত্যুর জন্য হাচান দায়ি। হাচান আমাকে বাঁচতে দিলো না। কালও আমার গাড়ি থামিয়ে সাড়ে ৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিচার চাইতে ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু সিকদারের কাছে গেলে তিনি গালমন্দ করে তাড়িয়ে দেন।’ তার বক্তব্যের কিছু অংশ আমি মোবাইল ফোনে রেকডিং করতে পেরেছি।তাই আমি আমার শ্বশুরকে হত্যার তদন্ত ও হত্যাকারিদের বিচার চাই।’’
এদিকে ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত বখাটে যুবক হাচানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এমন কি তার বাড়িতে গেলেও তাকে বা তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা, আওরাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিঠু সিকদার জানান, হাবিবুর রহমান নামের কোন লোক আমার কাছে কোন বিচারের জন্য আসেনি। আমি কি ভাবে গালমন্দ বা বিচার করবো।
এ বিষয়ে কাঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মুরাদ আলী বলেন, এ ঘটনায় বরিশালের কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মমলা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।