সিলেট নিউজ ডেস্কঃ
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের টেংরা টিলা পাড়া গ্রামে রাস্তায় লাকড়ি রাখা নিয়ে কথা-কাটাকাটি করে একপর্যায়ে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী মৃত আপ্তাব আলীর কনিষ্ঠ পুত্র আবুল বাসিত (২৮)।
শুক্রবার রাত ১২ টার দিকে একই গ্রামের মৃত নামর মিয়ার ছেলে সুমন পিক-আপ দিয়ে লাকড়ি এনে বাড়ির রাস্তায় ফেলে রাখে। খবর শুনে বাসিত বাহির হয়ে লাকড়ি সরাতে বললে সুমন তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে একপর্যায়ে উভয়ই সংঘর্ষে লিপ্ত হন।
সংঘর্ষ চলাকালে সুমন ধারালো ছুরি দিয়ে বাছিতকে বুকে আঘাত করলে তাৎক্ষণিক সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত দুইটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানাগেছে,এক যুগের বেশি সময় ধরে তাদের মধ্যে রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এক বিরোধ নিরসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সেলিম মিয়া শালিসি হয়ে সমাধান না দিয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে ডিগবাজি করেন।
এদিকে নিহত বাছিতের পরিবারের পক্ষ থেকে তার বোন রোজিনা বেগম ঘটনার সত্যতা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সেলিমকে খুনের জন্য দায়ী করেছেন। তিনি বলেন,রাস্তার বিরোধ সেলিমই বাড়িয়েছেন,তার ভাইকে হত্যায় একই গ্রামের মৃত তছলিম মিয়ার ছেলে কাইয়ূম,তুরন মিয়ার ছেলে ফারুক এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত।
তবে আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম জানান বিষয়টি নিয়ে
তাকে মিথ্যা বানোয়াট কথা বলে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।
এদিকে আসামি পক্ষ সুমনের সাথে কোনো ভাবে যোগাযোগ করা যায় নি,তার পরিবারের দাবি বাছিতকে সুমন খুন করেনি।
বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান বলেন,ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে,তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য তৎপর রয়েছে পুলিশ।