মুহাম্মদ আমির উদ্দিন কাশেমঃ
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী শরীফপুর ইউনিয়নের স্থানীয় বাগজুর গ্রামে জায়গা জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক অসহায় বিধবার ও বসতবাড়িতে ভাঙচুরসহ প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বুধলবার (২০এপ্রিল) সরেজমিনে বাগজুর গ্রামের মৃত আছমত আলীর স্ত্রী রেফা বেগমের বসত বাড়িতে গিয়ে বাড়ির দক্ষিন পশ্চিম সীমানার গাছ গুলো কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়, সাথে টিনসেড, বাশ ও নেট দিয়ে দেয়া বাড়ির বেঁড়াগুলো এলোপাথারি ভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মামলায় অভিযুক্ত মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী শরীফপুর ইউনিয়নের স্থানীয় বাগজুর গ্রামের মৃত আব্দুস সমদের ছেলে আব্দুল গফুর, একই গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে আব্দুল কাইয়ুম খালেদ আহমেদের স্ত্রী শিপা বেগম ও আব্দুল গফুরের ছেলে তুহিব মিয়া গং গত ১৭/০৪/২০২২ইং তারিখ বিকার ৫টায় লাঠি সোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে, এসময় রেফা বেগম চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে তখন দুর্বৃত্তরা ইট পাটক্কেল ছোঁড়ে এবং পরবর্তীতে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়, পরে ঐদিন রাত প্রায় ৯টার দিকে আবার আক্রমণ করে এবং বাড়ির দক্ষিণ পশ্চিম সীমানায় থাকা বিভিন্ন জাতের গাছ বৃক্ষ কেটে ফেলে এতে বাঁধা প্রদান করলে প্রাণে মেরে ফেলে বাড়ির উপর দিয়ে রাস্তা বানিয়ে নেওয়ার হুমকি দেয় এবং আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ঘটনার স্বচক্ষ সাক্ষী একই গ্রামের হাফিজুর রহমান, মেরাজ মিয়া, মবশ্বির আলী , জসিম মিয়া শাকির মিয়া, আব্দুল হামিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ইতিপূর্বে শালিশ হয়েছে কিন্ত আব্দুল গফুর, আব্দুস সালামের ছেলে আব্দুল কাইয়ুম খালেদ আহমেদের স্ত্রী শিপা বেগম ও আব্দুল গফুরের ছেলে তুহিব মিয়া গংরা শালিশের রায় মানতে রাজি হয়নি।
মামলার বাদী অসহায় বিধবা রেফা বেগম ও তার দুই এতিম মেয়ের নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
অভিযুক্ত আব্দুল গফুর, আব্দুল কাইয়ুম ও শিপা বেগমের সাথে যোগাযোগ করলে তারা এইসব ঘটনাকে অস্বীকার করে বলেন এসব মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও সাজানো।