সিলেট সংবাদ ডেস্কঃ
সিলেটের আবারো খুন,খুন-খারাবি যেন নিত্য দিনের ঘটনায় পরিনত হয়েছে। একের পর এক ঘটে যাচ্ছে খুন আর আত্মহত্যা। পহেলা বৈশাখের পর থেকে সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্হানে ঘটেছে হত্যাকান্ড। সব মিলিয়ে এখন আতংকের নগরী সিলেট।
তারই সুত্র ধরে আজ মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ইফতারের সময় এ ঘটনা ঘটে। নগরীর শাহজালাল উপশহরস্থ আই ব্লকের একটি লন্ড্রির দোকানে যুবকের ধাক্কায় ওই দোকানের ব্যবসায়ীর মৃত্যু ঘটেছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার আব্দুল জলিলের ছেলে নাজমুল ইসলাম মনির (২৯) আইইএলটিএস (IELTS) পড়ার সুবাধে নগরীর শাহজালাল উপশহরে আই ব্লকের তার মামার বাসায় থাকতেন।
মঙ্গলবার আছরের নামাজের পরে স্থানীয় ‘রেইনবক্স অটো ড্রাই ক্লিানার্স’ নামক দোকানে কিছু কাপড় ইস্ত্রি করতে নিয়ে যান। কাপড় ইস্ত্রির পর বাসায় গিয়ে দেখতে পান তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সঙ্গে নেই। পর মুহুর্তে মনির আবার ওই লন্ড্রির দোকানে গিয়ে তার মোবাইলের কথা জিজ্ঞেস করলে লন্ড্রি ব্যবসায়ী মো. সেলিম মিয়া (৬০) মোবাইলটি দেখেননি বলে জানান।
এসময় মনির ওই দোকানেই তার মোবাইল ফোন ফেলে রেখে গেছেন বলে দাবি করেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয় এবং একপর্যায়ে মনির সজোরে লন্ড্রি ব্যবসায়ী সেলিম মিয়াকে ধাক্কা দেন। এতে সেলিম মিয়া পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান আরও জানান, সেলিম মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার নিখলি উপজেলায়। তিনি নগরীর সাদাটিকর এলাকার আলাল মিয়ার কলোনিতে ভাড়া থেকে এই লন্ড্রি ব্যবসা পরিচালনা করতেন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, সেলিম মিয়া হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন।
এদিকে, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত মনিরকে আটক করে শাহপরাণ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আর সেলিম মিয়ার লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ময়না তদন্তের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আর সেলিম মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।