সিলেট নিউজ অনলাইন ডেস্ক:
তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশের একজন বিতর্কিত সাহিত্যিক ও চিকিৎসক। বিংশ শতাব্দীর আশির দশকে একজন উদীয়মান কবি হিসেবে সাহিত্যজগতে প্রবেশ করে তসলিমা এই শতকের শেষের দিকে নারীবাদী ও ধর্মীয় সমালোচনামূলক রচনার কারণে আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন। তিনি তার রচনা ও ভাষণের মাধ্যমে লিঙ্গসমতা,মুক্তচিন্তা,নাস্তিক্যবাদ এবং ধর্মবিরোধী মতবাদ প্রচার করায় ইসলামপন্থীদের রোষানলে পড়েন ও তাদের নিকট হতে হত্যার হুমকি পেতে থাকায় ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ ত্যাগ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করতে বাধ্য হন। এখন তিনি কয়েকদিন কলকাতা, কয়েকদিন দিল্লি আবার অষ্ট্রেলিয়াও থাকেন।
বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন তার ভেরিফাইড ফেসবুকে ০৯ জুলাই শনিবার একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে পদ্মার ইলিশের গুণগান গাইলেন ও স্মৃতিতে এখনও পদ্মার ইলিশ আছে তা স্পষ্ট করে বললেন। তার লেখা ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো, ‘ কাল সন্ধ্যায় (০৮ জুলাই শুক্রবার) মাছের বাজারে গিয়ে দুটো ইলিশ কিনলাম। বিক্রেতারা দাবি করে এ বাংলাদেশের ইলিশ। জানিনা সত্যিই বাংলাদেশের কিনা।
তবে গঙ্গার হোক,পদ্মার হোক, এই সিজনে ইলিশ না খেলে পুরো বছরটাতেই মনে হবে কী যেন খাইনি,কী যেন খাইনি। ষোলোশ’ টাকা কিলো ইলিশের। দুটোরই ওজন এক কিলো দেড়শ’ মতো। ঘরে এনে কয়েক টুকরো রান্না করলাম। নানা রকম রান্না আছে ইলিশের। তবে আমার সবচেয়ে ভালো লাগে কালোজিরে কাঁচালঙ্কার ফোড়ন দেওয়া পাতলা ঝোলের ইলিশ। রাতেই খেলাম। মাছও এত সুস্বাদু হতে পারে তা ইলিশ না খেলে বোঝা দায়,প্রাণ জুড়োলো।
যখন বাংলাদেশে ছিলাম,ইলিশ এত খেতাম যে ইলিশকে খুব স্পেশাল কিছু মনে হতো না। এখন সিজনে ইলিশ জোটে,ভালো ইলিশ কদাচিৎ জোটে,তাই ভালো কোনও সুস্বাদু ইলিশ যেদিন রান্না করি,সেই দিনটি মনে হয় ঈদের দিন,স্পেশাল। আজ আমার ঈদ,আজ (০৯ জুলাই শনিবার) দুপুরে,রাতে,দু’বেলায় ইলিশ খাবো। ঘড়ি দেখছি,কখন লাঞ্চের সময় হবে। লাঞ্চ শেষ হলে ঘড়ি দেখবো ডিনারের সময় কখন হবে,কারণ তখনও ইলিশ খাবো ‘।
সিলেট নিউজ/এসডি.