স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হাওর হাকালুকি ও কুশিয়ারা নদীর তীরে অবস্থিত সিলেট জেলার অন্তর্গত সার কারখানার জন্য খ্যাত ফেঞ্চুগঞ্জ। এবার সেই ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁওয়ে ঘটে গেলো নির্মম হত্যাকান্ড।
রোববার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও ইউনিয়নের পুরান বাজারের নিজামপুরে আশা এনজিও’র অফিস কক্ষে একই প্রতিষ্ঠানের পিয়ন ফজল মিয়া’র হাতে খুন হন সিনিয়র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো: আবুল কাশেম (৪৮)।
নিহত আবুল কাশেম হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বাসিন্দা। তিনি আশা এনজিও এর সিনিয়র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে ফেঞ্চুগঞ্জে কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) লুৎফুর রহমান বলেন,এই অফিসের বাবুর্চি মো. ফজল মিয়া দা দিয়ে কুপিয়ে আবুল কাশেমকে হত্যা করে। ফজল মিয়ার বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জে।
তিনি বলেন,অফিস চলাকালীন সময়ে অফিসের মধ্যে দা দিয়ে কাশেমকে মাথায় ও মুখে এলোপাতাড়ি ভাবে কোপ দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে অফিস হতে পালিয়ে যায় ফজল। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কি কারণে আবুল কাশেমকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। তবে পিবিআই তদন্ত করছে ও হত্যাকারী ফজল মিয়াকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,অফিসে কাজ করার সময় অফিসের পিয়ন ও বাবুর্চি ফজল তাকে হত্যা করেছে। এ সময় অফিসের অন্য সহকর্মীরা মাঠে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত পিয়ন ফজল পালিয়ে যায়।
নিহত আবুল কাশেমের স্ত্রী জানান,’ তিনি তাঁর স্বামী ও ফজলের উচ্চস্বরে কথা কাটাকাটির শব্দ শুনে অফিসে এসে দেখেন আবুল কাশেম রক্তাক্ত হয়ে মেঝেতে পড়ে আছেন এবং তিনি মৃত। খবর পেয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শাফায়েত হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলামত সংগ্রহ করে লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেন।