জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহায়ক রুমানের বিরুদ্ধে অশোভন আচরণ সহ বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে আদায়ের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়া করোনাকালেও টিকা দিতে আসা লোকজনের কাছ থেকে সিরিয়াল আগে পাইয়ে দেয়ার নামে প্রতিদিন হাতিয়ে নিয়েছে হাজার হাজার টাকা।
তবে প্রজেক্টে পাওয়া চাকুরীর মেয়াদ শেষ হলেও সে রয়েছে এখনো বহাল তবিয়তে।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর পৌর শহরে সুনামগঞ্জ আধুনিক চক্ষু হাসপাতালের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসার জন্য মাইকিং করানো হয়।
এতে বলা হয়, শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী দেখা হবে।
এমন ঘোষণায় রোগীরা সকাল থেকে চিকিৎসা নিতে ভীড় জমান হাসপাতালের ট্রেনিং সেন্টারে।
সেখানে দায়ীত্বে থাকা রুমান আহমদ প্রতিটি রোগীর কাছ থেকে জোড়পূর্বক ১০ টাকা করে আদায় করে। রোগীরা এই টাকা কিসের এমন প্রশ্ন করলে রোগীদের সাথে ক্ষেপে গিয়ে অশোভন আচরণ করতে থাকে রুমান।
এ সময় স্থানীয় সাংবাদিকরা এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তাদের প্রতিও আঙুল তুলে কথা বলে যে, টাকা নিতেছি তো কি হয়েছে। এই টাকা দিয়ে রুম পরিস্কার করাবো।
এসব নিয়ে তোমাদের এত মাথা ব্যাথা কেন। টাকা নেয়ার বিষয়ে কতৃপক্ষের অনুমতি আছে বলেও দাপটের সাথে সে উপস্থিত সাংবাদিকদের আখ্যা দেয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জগন্নাথপুর পৌর শহরের পূর্ব ভবানীপুর গ্রামের বখাটে ছেলে রুমান আহমদ তেমন লেখাপড়া না করলেও প্রায় ৭/৮ বছর পূর্বে ঘুষের বিনিময়ে প্রজেক্টে চাকুরি নেয়।
চাকরি নেয়ার পর থেকে সে অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের পথ বেছে নেয়।
তবে টাকার ধান্ধায় মগ্ন এই যুবকের অশোভন আচরণের হাত থেকে রেহাই পায়নি সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের মানুষও।
তার বেপরোয়া কর্মকান্ডে হতাশ ভুক্তভোগী জনসাধারণ।
অনেকেই জানান, এসব লোক কিভাবে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ একটি দপ্তরে চাকুরী পায়। তাছাড়া তার এহেন কর্মকান্ডে বা শেল্টারদাতাই কে, তা নিয়েও প্রশ্ন সচেতন মহলের।
অশোভন আচরণের বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মধু সুধন ধরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি দেখছি।
দায়ীত্বে থাকা সুনামগঞ্জ আধুনিক চক্ষু হাসপাতালের ম্যানেজার শাহ আলম বলেন, আমরা বিনামূল্যে চক্ষু সেবা দিয়ে যাচ্ছি।কোন টাকা পয়সা নিচ্ছি না। হাসপাতালের ট্রেনিং সেন্টারের দায়ীত্বে নিয়োজিত অফিস সহায়ক রুম্মান প্রতি রুগীর নিকট থেকে ১০ টাকা করে নিচ্ছে এটা সত্য, টাকা কেন নিচ্ছে সেই বলতে পারবে।
তবে একটি সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর
হাসপাতালে তার প্রজেক্টের চাকুরির মেয়াদ ইতোপূর্বেই শেষ হয়েছে। মেয়াদ শেষ হলেও যেন তার চাকুরী আরো পাকাপোক্ত।
নিজে পরিচ্ছন্নকর্মী হলেও এসব কাজ অন্য লোকদের দিয়ে করানো হয়, যা তার বক্তব্যেই প্রতিয়মান।
সরকারি নিয়মনীতির প্রতি তোয়াক্কা না করে কিভাবে সে বহাল তবিয়তে রয়েছে — পড়ুন অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ২য় পর্বে।