আরব আমিরাত প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে মেয়ের সহপাঠী আপন চাচাতো বোন ২০২২ সালের এক এসএসসি পরিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে, অভিযুক্ত ধর্ষক মাসুক মিয়া (৪৮) নামের এক কাঁচামাল ব্যবসায়ীকে বুধবার ১৩ অক্টোবর রাতে তাঁর নিজ বাড়ী থেকে আটক করেছে জুড়ী থানা পুলিশ।
ঘটনাটি ৮ অক্টোবর মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বীরগোগালী গ্রামে ঘটেছে।
ধর্ষণের অভিযোগে ভিকটিমের ভাই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে জুড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।মামলা নং ২ তারিখ ১৩/১০/২০২২ ইং মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়,গত ৮ ই অক্টোবর বিকেলে উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের বীরগোগালী গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেন এর পুত্র কামিনীগন্জবাজারের কাঁচামাল আড়তদার ব্যবসায়ী মাসুক মিয়া তার এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে ফাহিমা আক্তার কে নিয়ে পার্শ্ববর্তী কুলাউড়া উপজেলার মাগুরা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাসরত চাচার বাসায় যায়।
সেখানে গিয়ে তাদেরকে তার মেয়ের বিয়ের অনুষ্টানের কথা বলে চাচাতো বোন (১৬) কে নিজবাড়ীতে নিয়ে আসে।রাত ১২.৩০ টায় তার মেয়ে ও চাচাতো বোন কে তার রুমে নিয়ে গল্প করে কিছুক্ষণ পরে তার মেয়েকে রুম থেকে চলে যেতে বললে সে চলে যায়।আরও কিছু সময় খোশ গল্প করে চাচাতো বোন কে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে।পরদিন ভোরে বিবাদীর ছেলের মোবাইল হইতে ভিকটিম তার ভাই মামলার বাদী আনোয়ার হোসেন কে জানায় তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নেয়ার জন্য।
দ্রুত সে মোটরসাইকেলে কুলাউড়া থেকে বীরগোগালী মাসুক মিয়ার বাড়ীতে এসে উপস্হিত হলে বিবাদীর ১ম স্ত্রী গেইট খুলে দেন।বোন ভাইয়ের আগমন শুনে বের হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ধর্ষণের ঘটনা জানায়।সাথে সাথে সে তার মোটরসাইকেল বিবাদীর বাড়ীতে রেখে সিএনজি গাড়ীতে বোনকে নিয়ে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।বিষয়টি মৌলভীবাজার সদর থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ হাসপাতালে এসে ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ সন্ঞ্জয় চক্রবর্তী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সমাজে সবাই নিরাপদে বসবাসের জন্য এইসব অপরাধীদের কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনা হবে।