কবিতা—-
কবি লেখক বাউলের খেলা
আমাদের নেত্রকোনা জেলা!
কলমে কবি মুকলেছ উদ্দিনঃ
এদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল নেত্রকোনা জেলা
হাসি খুশি আনন্দ উৎসব থাকে সারা বেলা।
কবি খালেকদাদ চৌধুরী:রওশন ঈযদানি
যারা দেশের প্রখ্যাত কবিকুল শিরোমণি।
মদনের কবি সরকার ছিল মধুসরকার
এখনো গ্রাম গণ্জে নামটি আছে প্রচার।
তিনশত ষাট আউলিযার বুড়াপীরের
মাজার
সেই ওরসে দলে দলে লোক আসে হাজারে হাজার।
হইত শ্রাবণে নৌকা বাইচ ফাল্গুনে ষারের লড়াই
অনেক কিছু বিলুপ্ত হয়ে গেছে এখন আর নাই।
হইত ঘোড় দৌড় আটপাড়া সোনাজুর
ছিল গাটু গান গাটু নাচিত পায়ে পডে নুপুর।
প্রখ্যাত বাউল উকিল মুন্সি জালাল খার গান
এদেশের বাউলের রূপকার তারা ইতিহাসে প্রমান।
এই জেলায় বয়ে গেছে বিশাল নদী মগড়া
সারা নেত্রকোনায় তার মোহনায় ঘেরা।
তখন অনেক এলাকা ছিল ঝোপ জার জঙ্গলে ভরা
সারি সারি হিজল গাছ তারা পাহারায় ছিল দাঁড়া।
ঝোপজার জঙ্গলে কাকলিদের আসর
সকালে কিচিরমিচির শব্দে হয় প্রহর।
বর্ষায় পানিতে ভাসে কত ঘাসফুল
ঢেউয়ের তালে তালে খায় তারা দোল।
নাওরী নৌকায় পাল তুলে মাঝি গায় গান
ভাটিয়ালি গানে জুড়ায় পল্লী বধুর প্রাণ।
ভাদ্রে তালের পিঠা কৈলসার ঝুল
আশিনে ফুটে গাছে বরুণের ফুল।
কার্তিকে পানি সেচে খাল বিল শুকায়
মাছ ধরে তারা তাতে কত আনন্দ পায় ।
অগ্রহায়ণ পৌষে আম গাছে কত মুকুল ধরে
মাঘ ফাল্গুনে দারুন শীতে ব্রাহ্মণ গাভী বিক্রি করে।
চৈএ মাসের করা রৌদ্রে নদীর তলা ফাঠে
বৈশাখে আনন্দে কৃষক পাকাধান কাটে।
জ্যৈষ্ঠতে আম কাটলে হিরিক পড়ে দেশ জুড়ে
গোলাধান বিক্রি করে তারা আনন্দ ফুর্তি করে।
আষাঢ়ে কৃষক শ্রমিক সবাই করে বিশ্রাম
শ্রাবণে ছেলে মেয়ের বিয়ের পড়ে ধুমদাম।
মিলে মিশে বাস করে যত হিন্দু মুসলিম খৃষ্টান
সকলের তরে সকলে বিলায় ভালোবাসা দান।
কবি হেলাল হাফিজ নির্মলেন্দু গুণ নেত্রকোনা জেলার
কবি হুমায়ুন আহমেদ গৌরব এলাকার সকল জনতার।
ননীগোপাল সরকার তানভীর জাহান চৌধুরী
তারাই নেত্রকোনার কবিদের কান্ডারী পথচারী
নেত্রকোনায় রয়েছে সুন্দর সমাজ মনোরম পরিবেশ
মূলতই আমার জেলা কবি লেখক বাউলের দেশ
একবার যদি আস বন্ধু নেত্রকোনা জেলায়
আর কভু চাইবে না যেতে নিজ এলাকায়।