রেবা গোস্বামী (মৌলভীবাজার):
………….মাকে মনে পড়ে………..
মায়ের ছায়া,মায়ের গায়ের গন্ধস্পর্শ অনুভব করি।
ইচ্ছে করে মাকে আবার জড়িয়ে ধরে ডাকি মা।
কিন্তু মা তো আছেন স্বর্গপুরে আকাশ ছেয়ে ছেয়ে,
তারায় তারায়,লক্ষ তারায়,চাঁদের পাশে পাশে।
মায়ের কোলে বসে যেভাবে কথা হতো আদর সোহাগে,
মা আমার আছেন রাগে অনুরাগে।
মাকে মনে পড়ে………….
সেই যুদ্ধাহত দেশে,ফিরে অবশেষে,
মোদের প্রতিষ্টিত করার জন্য বাঁশের কুড়ে ঘরে;
মোদের বুকে ধরে,কেটেছেন কাল,ধরেছেন হাল ধৈর্য্য যায় নি খশে।
মা ছিলেন আমার অন্নপূর্ণা,মায়ের কী আর হয় তুলনা?
মাকে নিয়ে ইতিহাস লিখা যায়,গল্প লিখা যায়,
কিন্তু কয়েক লাইনে আবদ্ধ ছন্দবদ্ধ কবিতা লিখা যায় না।
মাকে মনে পড়ে…………….
ব্যস্তজীবন থাকে বলেই হয় তো ক্ষণিকের জন্য মা থাকেন দূরে,বহূদূরে।
তার পর আর ভুলতে পারি না,ঘুম আসেনা চোখে,
ক্ষণে ক্ষণে,অনুক্ষণে মা কথা বলেন যেন আমার অর্ন্তপুরে।
হাটি হাটি পা পা করে জীবনের অনেক বছর গেলো চলে,
তবুও মনে হয় যেন,সে দিনও ছিলেম মায়ের কোলে;
মায়ের স্পর্শ গন্ধ যেন আসে হাওয়ার দোলায় দোলে।
এবার মাকে বলি শোন…..
তুমি আমার জন্মদাত্রী,তোমার গর্ভমূলে,
স্বযত্নে দেহ গড়েছো মা তুমি,সে কথা যাইনি ভুলে।
কষ্ট যত করেছো মা,সুখ পাবে মা ততো,
আমরা আজ মা প্রতিষ্টিত,তোমার মনের মতো।
আজ আমরা আর তোমার মাগো ছোট্ট শিশু নয়,
তোমার কষ্টের ফসল হয়ে ভয়কে করেছি জয়।
তোমার আশীষ পেয়ে……..
তোমার কষ্টে,তোমার শিক্ষায়,তোমার আশীষ পেয়ে;
স্বসম্মানে বেঁচে আছি মাগো,কম নয় কারো চেয়ে।
সিলেট নিউজ২৪/এসডি.