রনি মিয়া, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশার কান্দি গ্রামে ঘিরে রাখা বাড়িটি থেকে যৌথবাহিনীর অভিযানে বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জামাদি ও অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত আশারকান্দি ইউনিয়নের দিঘলবাক আটঘর গ্রামের আফজাল হোসেনের বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়। তবে এর সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি চলছে, গতকাল সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও মিডিয়া) রিপন কুমার মোদক।
যৌথবাহিনী বাহিনীর উদ্ধার অভিযানে একটি রিভলভার, একটি ল্যাপটপ, নয়টি মোবাইল ফোন, বিস্ফোরক তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম ও পাউডার, দুটি ওয়াকিটকি সাদৃশ্য বস্তু ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ দেশি অস্ত্র জব্দ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ ডিসেম্বর জগন্নাথপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ নুরে আলম সিদ্দিক আদালতের একটি নন-এফআইআর মামলার সমন জারি করতে আখলাকুর রহমানের, ছেলে সাদিকুর রহমান ওরফে আফজাল হোসেনের (৩৫) বাড়িতে গিয়েছিলেন।
এ সময় আফজাল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। তখন এএসআই মোহাম্মদ নুরে আলম সিদ্দিক আফজাল হোসেনের বসতঘরের বিভিন্ন কক্ষে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস, সাদা পাউডার ও যন্ত্রপাতি দেখতে পান। বিষয়টি থানার ওসিকে ফোনে অবগত করেন। এর পর বাড়িটি ঘেরাও করে রাখে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে গতকাল রবিবার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ, ঢাকার কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম, এন্টিটেররিজম ইউনিট ও সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ টিম এসে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সাদিকুর রহমান আফজল একজন পেশাদার সন্ত্রাসী। তিনি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিলেট নগরীর বালুচর এলাকা থেকে আগ্নোয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন।
এ ছাড়াও ২০২১ সালে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার থেকে দুটি পাইপগানসহ র্যাব ৯-এর হাতে গ্রেপ্তার হন। তার বিরুদ্ধে সিলেট ও সুনামগঞ্জে একাধিক মামলা রয়েছে।