বাহুবল প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার ৩নং সাতকাপন ইউনিয়নের মানিকা বাজারে সোহাইয়া হতে বাহুবলগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় ৯ বছরের ইসমাইল মৃত্যুর সাথে পাঞ্জাবী লড়ছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৭ জানুয়ারি রোজ মঙ্গলবার হরাইটেকা গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গুরুতর আহত মোঃ ইসমাইল হোসেন (৯) হরাইটেকা গ্রামের মোঃ নুরুল হকের পুত্র। প্রত্যক্ষদর্শী একজন (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)
বলেন,একই গ্রামের দোকানী মোঃ মোবারক হোসেনে দোকানে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ০৯ঃ৩০ মিনিটে ইসমাইল তার সাথের সহপাঠীদের নিয়ে মোবারক হোসেনের দোকানে যায় কিছু সদাই-পাতি করার জন্য,তখন তার দোকানে থাকা আনুমানিক দুই থেকে আড়াই হাত লম্বা লাঠি দিয়ে বাচ্চাদের তাড়া করেন। তখন ইসমাইল ও তার সহপাঠীরা ভয়ে এলোপাতাড়ি দৌড় শুরু করে। এ সময় ইসমাইল হোসেন (৯) আকস্মিক রাস্তায় চলা একটি সিএনজির সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী আরও জানান,এমতাবস্থায় রাস্তায় রক্তে মাখা ইসমাইলকে দেখতে পেয়ে আশেপাশে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা হেল্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হেল্থ কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা ইসমাইলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন এবং ইসমাইলের অভিভাবকেরা তাকে হবিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহত ইসমাইল হোসেন (৯) এর পিতা নুরুল হকের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান,’আমার ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে ঐ দোকানদার মোবারক হোসেন লাঠি দিয়ে দৌড়ান দেয় এবং এক পর্যায়ে আমার ছেলেটা একটা সিএনজির ধাক্কায় রাস্তায় লুটে পড়ে ও মাথায় ফেটে যায়। এখানে সিএনজি ও সিএনজি চালকের কোন দোষ নেই। আমি এখন তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি,পরবর্তীতে ছেলে সুস্থ হওয়ার পর থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ করবো’।
বাহুবলের সোহায়ইয়া সিএনজি স্ট্যান্ডের মোঃ জুয়েল মিয়া জানান,নুরুল হক যা বলেছেন তাই সত্যি এবং আহত শিশু ইসমাইল ও পরিবারের পাশে আমরা আছি।
এ বিষয়ে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রাকিবুল ইসলাম খান,ঘটনা শুনেছি,কিন্তু আহত শিশুর অভিভাবক অভিযোগ না করা পর্যন্ত আমরা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবো না।
সিলেট নিউজ/অপরাধ/বাহুবল/আমিনুল ইসলাম মানিক.