এইচ আর রুবেল বিশেষ প্রতিনিধি :
শায়েস্তাগঞ্জে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার এক কালের বিনোদনের প্রধান অনুষঙ্গ যাত্রাপালা। হালকা ঠান্ডা আর কুয়াঁশার চাঁদর মুড়ানো হেমন্তের আগমনীর সাথেই সাথেই গ্রাম বাংলার চিরাচরিত নিয়মের যাত্রা গানের আসর শুরু হতো গ্রামে গ্রামে,আর তা চলতো প্রতিযোগিতা করেই।
শুরু হতো রাতে যুবক এবং মধ্য বয়সীদের আনন্দের মাতম। একমাস আগে থেকেই মহড়া, তার পর সকল প্রস্তুতি শেষে হতো মঞ্চস্ত। কিনা আনন্দই থাকতো গ্রামে গ্রামে আর মহল্লা মহল্লায়,সকলের সাথে মানসিক ভাবে সেই কিশোরটিও যুক্ত হতাম আনন্দের হুলুস্থুলে। বায়না ধরতাম বড়ভাইদের কাছে যাত্রা দেখবো।
মাঝে মধ্যে চপেটাঘাতও পড়ে যেতো গালে যাত্রা দেখার বদলে।
মায়ের আঁচলে মুখ লুকিয়ে সহ্য করতাম নিরবে। সেই স্মৃতি জড়ানো দিন গুলো আজও হৃদয়ে দাগ কাটে।
আজ মাঠে সোনালী ধানের শিষে মুক্তোর দানার মতো কুয়াশার ঝিকিমিকি আছে ঠিকই, আছে রাতে হিমেল হাওয়ায় হেমন্ত প্রকৃতিকে ধোয়ে দেয়ার অনুভূতিও।
কার্ত্তিকী পুর্ণিমার চাঁদও দোলে গেলো আকাশে ক’দিন আগে।
থাকছে না শুধু গ্রাম বাংলার পুরোনো ঔতিহ্যগুলো যা আজও জাগ্রত হয় নিজের মনে প্রাণে নিরবে নিভৃতে।