নিউজ ডেস্ক :সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ইউনুস আলী (৩৫) নামক এক ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে একজনকে ফাঁসি ও ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ৯ মার্চবৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহাদাৎ হোসেন প্রামাণিক এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম কয়েছ আহমদ। তিনি জৈন্তাপুর উপজেলার উপর শ্যামপুর গ্রামের কুতুব আলীর ছেলে। কয়েছ ৭ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামের ফয়জুর করিমের ছেলে রাসেল আহমদ, একই গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে জুয়েল আহমদ ও শ্যামপুর গ্রামের মাহমুদ আলী হুরু মিয়ার ছেলে বিলাল আহমদ বেলাল।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর জৈন্তাপুরের হরিপুর গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে ও হরিপুর বাজারের ব্যবসায়ী ইউনুস আলী তার প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন।পরদিন পুলিশ হরিপুর গ্রামের জুয়েল আহমদ (২২), লামাশামপুর গ্রামের রাসেল আহমদ (২৫), বেলাল আহমদ (২২), কয়েছ আহমদ (২৬) সনামের চার যুবককে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে জুয়েল কলেজছাত্র ও বাকি তিনজন পেশায় গাড়িচালক। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিখোঁজের দুইদিন পর পাহাড়ের চূড়ার গর্ত থেকে ইউনুসের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে জৈন্তাপুর থানায় এজাহারনামীয় ৫ জনসহ আরো অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এদিকে রায় ঘোষণার পর সংবাদমাধ্যমের কাছে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন নিহতের বড় ভাই ইলিয়াস আলী।
তিনি বলেন, ‘রায়ে আমি সন্তুষ্ট। তবে রায়টি যেন উচ্চ আদালতে বহাল থাকে। একই সঙ্গে দ্রুত কার্যকর হয়। রায় কার্যকর হলে আমার ভাইয়ের আত্মা শান্তি পাবে।’