প্রতিনিধি,তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ):
সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সিরাজপুর বাগগাওঁ সপ্রা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সাত্তার আজাদের বিদ্যালয়ে প্রতিদিন নিয়মিতই দেরিতে আসা, হিসাবনিকাশ না দেয়া, বছর শেষে সরকারের দেয়া বিনামূল্যের পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফেরত নিয়ে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সাত্তার আজাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের ফলে সিরাজপুর বাগগাওঁ সপ্রা বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠাদান ব্যাপকভাবে বাঁধাগ্রস্তসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান বিকাশে পিছিয়ে পড়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) সকালে প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সাত্তার আজাদের অনিয়ম ও দুর্নীতি বিরুদ্ধে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর সিরাজপুর বাগগাওঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (SMC) স্কুল ম্যানেজিং কমিটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি/সহসভাপতি ও সদস্যসহ সাত জনের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সাত্তার আজাদের এহেন অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে সিরাজপুর বাগগাওঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (SMC) স্কুল ম্যানেজিং কমিটির পক্ষে বিশ্বম্ভপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম সরকারকে অবগত করলেও এর কোন প্রতিকার পায় নি। শুধু তাই নয়! ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি/সহ সভাপতি ও সদস্যরা প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার আজাদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাদের উপর চলে মামলা হামলাসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি।
অভিযোগে আরও লিখেন, প্রধান শিক্ষক নিয়মিতই দেরিতে বিদ্যালয়ে আসার সুযোগে সহকারী শিক্ষকরাও প্রায়ই দেরীতে আসেন যার কারনে পাঠদানে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে এবং বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার খাত প্রাথমিক শিক্ষা হুমকির মুখে। প্রতিমাসে এসএমসির কমপক্ষে একটি সভা করার কথা থাকলেও তিনি কমিটির চাপের মুখে পড়ে গত ৮ মাসে সভা করেন মাত্র মাত্র একটি। কাব কার্যক্রম পরিচালনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ থাকলেও প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার আজাদ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই বিদ্যালয়ে কাব কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। গত ৫ই আগস্ট শনিবার “ক-ক্যাটাগরি দিবস”, শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্ম বার্ষিকী সারাদেশ রাষ্ট্রিয় ভাবে উদ্যাপিত হলেও তা পালন না করে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার আজাদ স্কুলে না এসে বাড়িতে অবস্থান করেন। শুধু তাই নয়! প্রধান শিক্ষক নিয়মিত দৈনিক সমাবেশ/ মা সমাবেশ ও অভিভাবক সমাবেশ না করাসহ নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে তার বিরুদ্ধ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার আজাদ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একজন অভিযোগ করতেই পারে। অভিযোগ করলেই সব সত্য নয়! অভিযোগ করেছে, তদন্ত হবে, তদন্তের পর প্রমাণ হলে আমার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়া হবে তাই মেনে নেব।