মোঃ মশিউর রহমানঃ
টাংগাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায় গত বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তথ্যসূত্রে জানা যায়, মূলত ওয়ার্কশপ কর্মচারি নাহিদ মোটরসাইকেল চুরির বিষয়টি দেখছিলো বিদায় তাকে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের নিকট এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শরফুদ্দীন। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন প্রেস ব্রিফ্রিং করে সাংবাদিকদের এ বিষয়টি জানান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ঘাটাইল উপজেলার কামারচালা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সোহাগ (১৫), নিয়ামতপুর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে নাজমুল (২০), কামারচালা গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী খাদিজা (৩৩), নলমা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে সালমান জাহান জান্নাত (২১) এবং জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তরুনীআটা গ্রামের ফজলুল হক। এ সময় লুণ্ঠিত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঘাটাইল উপজেলায় মনির ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের ভিতর থেকে নাহিদ হাসান নামে এক কর্মচারির লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় হত্যাকারীরা একটি মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার প্রধান আসামি হত্যার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত সোহাগ যাত্রাবাড়ীর কদমতলী এলাকা থেকে রবিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে অপর আসামি নাজমুলকে গোলাবাড়ি বাস স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাজমুলের দেওয়া তথ্য মতে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। খাদিজার দেওয়া তথ্য মতে অন্য দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করি। সোহাগ মোটরসাইকেলের জন্য নাহিকে হত্যা করে। এ হত্যা মামলার আসামি সোহাগ কথিত খালাতো ভাই ছিল নাহিদের। ঘটনার দিন তাদের ওই ওয়ার্কসপের পাশে দেখা যায়। তিনি আরও বলেন, সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায় নাহিদ আমার খালাতো ভাই হয়। তার মূল পরিকল্পনা ছিল এই মোটরসাইকেল নেবে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নাহিদকে হত্যা করে মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। এই মোটরসাইকেল সরানোর জন্য সহযোগিতা করেছে সোহাগের মা খাদিজা। গ্রেপ্তারকৃতদের জবানবন্দির জন্য টাংগাইল আদালতে পাঠানো হয়।