বিশেষ প্রতিনিধি:
সিলেট মহানগরীর ঘাসিটুলাস্থ একটি কলোনির বাসিন্দা এক তরুণীকে ‘ভাল কাজ’ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দুইদফায় প্রায় দুইমাস এক তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষনের অভিযোগে নির্যাতিত তরুণীর মা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
কোতোয়ালী থানার ওসি মঈন উদ্দিন সিপন জানিয়েছেন,শনিবার (৩০ মার্চ) এ ঘটনায় এক নারীসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মামলার আসামীরা হলেন;- নগরীর লালদিঘীরপাড় ৩৬ নম্বর বাসার আবদুস সালাম (৪০), লালদিঘীরপাড় ২৭ নম্বর বাসার আবদুল মনাফ (৩৮) ও ঘাসিটুলা মতিন মিয়ার কলোনির রেখা বেগম (৩০)।
মামলা সুত্রে জানা যায়,নির্যাতিতা ওই তরুণী নগরীর শেখঘাটের একটি বোতল ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। পরিবারের সদস্যরা ওই তরুণীকে সিলেট শহরের বাসায় রেখে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান। এই সুযোগে একই কলোনির বাসিন্দা রেখা বেগম লালদিঘীরপাড়ের আবদুস সালামের সাথে তরুণীকে পরিচয় করিয়ে দেয়। আবদুস সালাম ‘ভালো কাজ’ দেওয়ার প্রলোভন দেখায় তরুণীকে।
চলতি বছরের গত ৭ জানুয়ারি রেখা বেগম ‘ভালো কাজের’ কথা বলে তরুণীটিকে আবদুস সালামের লালদিঘীরপাড়স্থ বাসায় নিয়ে যায়। পরে বাসার একটি রুমে ২২ দিন আটকে রেখে আবদুস সালাম তাকে ধর্ষন করে। পরিবারের সদস্যরা সিলেট নগরীস্থ বাসায় ফিরে তরুণীকে না পেয়ে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ নেন।
কিন্তু কোথাও না পেয়ে থানায় জিডি করতে চাইলে রেখা বেগম বাধা দিয়ে তাদেরকে আবদুস সালামের কাছে নিয়ে যায়। আবদুস সালাম তরুণীটিকে উদ্ধারের ব্যাপারে আশ্বাস দেয়। কয়েকদিন পর পরিবারের সদস্যরা আবারও আবদুস সালামের কাছে গেলে সে জানায় লন্ডন প্রবাসী একটি পরিবারের কাছ থেকে তরুণীটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই সময় লন্ডন প্রবাসী পরিবারের পরিচয় জানতে চাইলে আবদুস সালাম ক্ষেপে যায়। কিন্তু নির্যাতিতা তরুণী আবদুস সালাম কর্তৃক ধর্ষিত হওয়ার ঘটনা খুলে বললে সে প্রাণনাশের হুমকি ও তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এ ঘটনার ৩ দিন পর আবদুস সালাম বিয়ের কথা বলে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে মামলার আসামী আবদুল মনাফের মাধ্যমে তাকে হবিগঞ্জে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে আটকে রেখে তাকে আবদুস সালাম ও আবদুল মনাফসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন তরুনীটিকে ধর্ষন করে। সেখান থেকে গত ২৬ মার্চ এক আত্মীয়ের মাধ্যমে কৌশলে তরুণীকে উদ্ধার করে আনা হয়।
সিলেট নিউজ২৪/এসডি.