শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

সুনামগঞ্জে যাদুকাটা নদীতে যে কারণে পূণ্যার্থীরা জড়ো হন

SATYAJIT DAS / ৪৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি:

প্রতিবছর চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে এ পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়। মা নাভা দেবীর মনোবাসনা পূরণ করতে মহাপুরুষ শ্রীমান অদ্বৈত আচার্য প্রভু ১৫১৬ খ্রিস্টাব্দে এই তীর্থের সূচনা করেন। পঞ্চদশ শতাব্দীর বৈষ্ণব সাধক শ্রী অদ্বৈত আচার্য প্রভুর জন্মস্থান সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার বর্তমান তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের নবগ্রামে।

 

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের রাজারগাঁওসংলগ্ন যাদুকাটা নদীতে শনিবার অনুষ্ঠিত হবে পুণ্যতীর্থ পুণ্যস্নান। এ বছর পুণ্যস্নানের সময় শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৭টা ৫২ মিনিট ১৬ সেকেন্ড থেকে দুপুর ১টা ৪৯ মিনিট ২৪ সেকেন্ড পর্যন্ত।

ওই সময়ে সপ্ততীর্থ গঙ্গা,যমুনা,গদাবরী,সরস্বতী, নর্মদা,সিন্ধু ও কাবেরীগণের আগমণ ঘটে যাদুকাটা নদীর এই স্থানে। তীর্থযাত্রীরা পণ করেছিলেন যত দিন পৃথিবী থাকবে তত দিন প্রতিবছর এই সময়,এই স্থানে তাঁদের আগমণ ঘটবে। সেই থেকেই এই তীর্থের নাম হয় ‘পুণ্যতীর্থ’।

 

সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নিদর্শন পণাণতীর্থ (মহাবারুণী স্নান ও শাহ্ আরেফিন(র.) ওরস মাহফিল। ৭’শ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঐতিহ্যবাহী এ দুটি অনুষ্টান ঘিরে সনাতন ও ইসলাম ধর্মাবলম্বীর কয়েক লাখ ভক্ত-আশেকান, দর্শনার্থী ও পূণ্যার্তীর সমাগম ঘটে অদ্বৈত্য আর্চা মহাপ্রভুর রাজারগাঁও নবগ্রাম আখড়াবাড়ী সংলগ্ন ২৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সীমান্ত নদী যাদুকাটার দুই তীরবর্তী পণাতীর্থ ধামে ও হযরত শাহ আরেফিন (রাঃ) মোকাম সীমান্তবর্তী লাউড়েগড় এলাকায়।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,গতকাল শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) থেকে তিনদিন ব্যাপী লাউড়েরগড় এলাকায় শাহ আরেফিন (রা:) এর মোকামে অনুষ্টিত হবে বার্ষিক ওরস মোবারক। পরের দিন শনিবার (০৬ এপ্রিল) থেকে যাদুকাটা নদী সংলগ্ন রাজারগাঁও এলাকায় মহাবিষ্ণুর অবতার অদ্বৈত জন্মধামে পণাতীর্থ মহাবারুণী স্নান ও মেলা বসবে। দুই ধর্মের এই দুটি উৎসবকে ঘিরে সপ্তাহখানেক পূর্ব থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা ভক্ত-আশেকানদের আগমনে পুরো এলাকা সম্প্রীতির এক মেলবন্ধনে পরিণত হয়। দুই ধর্মের ভক্ত আশেকান ও পূর্ণাতীরা গান বাজনা আর আরতিসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মেতে উঠে রাতদিন।

 

তবে এ বছর পবিত্র রমজান মাস থাকায় শাহ আরেফিন মোকামে কাফেলাগুলোতে মাইক,সাউন্ড সিস্টেম ও গান-বাজনাতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এছাড়াও রমজানের পবিত্রতা বজায় রেখে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 

এবছর মহাবারুণী স্নান ও মেলার মুখ্য সময় ২৩ চৈত্র ১৪৩০ বাংলা,৬ এপ্রিল শনিবার দিবা ঘঃ সকল ৭ টা ৫২ মিনিট ১৬ সেকেন্ড গতে রাত ৫ টা ২৮ মিনিট ২৯ সেকেন্ড মধ্যে মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী সকাল ৭ টা ৫২ মিনিট ১৬ সেকেন্ড গতে দুপুর ১ টা ৪৯ মিনিট ১৪ সেকেন্ড এর মধ্যে। এবং মহাবারুণী শতভিষা নক্ষত্র দিবা ১ টা ৪৯ মিনিট ২৪ সেকেন্ড পর্যন্ত।

 

ঐতিহাসিকদের মতে,অতীতের পাপ মোছন,ঈশ্বরের আশীর্বাদ ও পুণ্য লাভের আশায় প্রতি বছর চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে দেশ ও দেশের বাহিরের কয়েক লাখ সনাতন ধর্মের অনুসারী নর-নারী শ্রী অদ্বৈত আচার্য ঠাকুরের আবির্ভাবস্থল পণতীর্থ স্মৃতিধাম যাদুকাটা নদীর জলে পূণ্যস্নান করে কলুষমুক্ত হন এবং ঈশ্বরের কৃপা লাভ করেন। তাঁদের বিশ্বাস,পণাতীর্থ স্নানের মাধ্যমে মনো-বাসনা পূর্ণ হয়। এ উপলক্ষে মহা-বারুনী মেলা বসে।

 

১৫১৬ খ্রিস্টাব্দে এই তীর্থের সূচনা করেন মহাপুরুষ শ্রী অদ্বৈত আচার্য ঠাকুর। তার মায়ের স্বপ্নের ইচ্ছানুসারেই অদ্বৈত মাতৃবাক্য পূরণের জন্য তার অলৌকিক মতাবলে পৃথিবীর সপ্তবারির জল একত্রিত করে তার মনোবাসনা পূরণ করেন। এর পর থেকেই হিন্দুধর্মের লোকজন স্নান করতে আসছেন,এই জলধারাই পুরনো রেনুকা নদী বর্তমানে যা যাদুকাটা নদী নামে প্রবাহিত। তাহিরপুর থানার এই নদীর তীরে পনাতীর্থে প্রতি বৎসর চৈত্র মাসে বারুনী মেলা হয়।

 

এ তিথিতে স্নানের পাশাপাশি অনেকে এখানে আসেন মা বাবা আত্মীয় স্বজনের অস্থি বিসর্জন দিতে। প্রতি বৎসর লাখো হিন্দু পুন্নার্থীর সমাবেশ ঘটে এই বারুণী মেলায়। অনেক মুসলমানও এই মেলা দেখার জন্য পনাতীর্থ আসেন। এই সময় সনাতন ধর্মের লোকজন তীর্থরূপি যাদুকাটায় স্নান করার আশায় এসে জড়ো হন নদীতীরের অদ্বৈত মহাপ্রভু চৈতন্যের নবগ্রামে। মন্ত্র পাঠ করে প্রতি বছর চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে সনাতনী সম্প্রদায়ের পুণ্যার্থী নরনারী পাপমুক্তির প্রত্যাশায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার অদ্বৈত্য আর্চা মহাপ্রভুর রাজারগাঁও নবগ্রাম আখড়াবাড়ী সংলগ্ন ২৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সীমান্ত নদী যাদুকাটার তীরবর্তী পণাতীর্থ ধামে সেই থেকেই শুধু হয় প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্নান যাত্রার। এবং তাঁর স্মৃতিতার্থে অদ্বৈত আচার্য মন্দির গড়ে উঠেছে যাদুকাটা নদীর তীরবর্তী রাজারগাঁও গ্রামে।

 

শ্রী অদ্বৈত জন্মধাম কেন্দ্রীয় কমিটির তাহিরপুর উপজেলা কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য গণেশ তালুকদার বলেন,গঙ্গাস্নান ও মহা-বারুনী মেলা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। স্নান ও মেলা শেষে পুণ্যার্থীরা যেন নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন এ বিষয়টি এবারও সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য যে,যাদুকাটা নদী বা যদুকাটা নদী বা জাদুকাটা-রক্তি নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্ত:সীমান্ত নদী। নদীটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৭ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৫৭ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা “পাউবো” কর্তৃক যাদুকাটা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ৭২।

 

যাদুকাটা নদী ভারতের খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় হতে উৎপত্তি হয়ে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্বরপুর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পরে তাহিরপুরের মধ্যে নদীটি প্রবেশ করে ঈষৎ দক্ষিণ-পূর্বমুখী হয়ে একেবেকে পুনরায় বিশ্বম্ভরপুরে প্রবেশ করেছে। বিশ্বম্ভরপুর থেকে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে জামালগঞ্জ উপজেলা শহরের নিকট নয়া সুরমা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। এই নদীর তীরে অবস্থিত আনোয়ারপুর ও দুর্লভপুর নদীবন্দর।

 

প্রাচীন কালে লাউড় নামে একটি আলাদা রাজ্যপাট ছিল। লাউড়ের ইতিহাস অতি প্রাচীন অসংখ্য কিংবদন্তি এবং ঘটনাবলী ও তথ্যবলীতে তৎকালীন লাউড় রাজ্য সমবৃদ্ধ। লাউড় রাজ্যের রাজ্যপাল ছিলেন কেশব মিশ্র নামক জৈনেক ব্যক্তি। লাউড়ের রাজারা ছিলেন কাত্যান গোত্রীয় মিশ্র তাদের উপাধি ছিল সিংহ। লাউড় রাজধানী লাউড় ছাড়া অন্য অংশ ছিলো জগন্নাথপুর ও বানিয়াচং এ রাজ্যের সীমানা জুড়ে বিসৃত। বর্তমানের সুনামগঞ্জ জেলা, ময়মনসিংহ জেলা,হবিগঞ্জ কিয়দংশ নিয়ে গঠিত ছিলো তৎকালীন লাউড় রাজ্য। তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের হলহলিয়া গ্রামে তৎকালীন লাউড়ের রাজা বিজয় সিংহের বাসস্থানের ধংসাবশেষের এখনো বিদ্যমান রয়েছে যা বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক তত্ববধানে রয়েছে।

 

লাউড়ে পঞ্চদশ শতাব্দীতে দিব্যসিংহ নামে জনৈক রাজা রাজত্ব করতেন! কথিত আছে বিখ্যাত বৈষ্ণব সাধক অদ্ধৈতাচার্যের পিতা কুবের আচার্য তর্কপঞ্চানন দিব্য সিংহের মন্ত্রী ছিলেন। লাউড়ের রাজা দিব্যসিংহ বৃদ্ধ বয়সে রাজ্যভার তদীয়পুত্রের হাতে ছেড়ে দিয়ে সন্যাসব্রত গ্রহন করেন এবং তদীয় মন্ত্রী পুত্র অদ্ধৈতাচার্যের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। অদ্ধৈতাচার্যই বৈষ্ণব ধর্মের উজ্জ্বলতম নামে খ্যাত এবং দিব্যসিংহ কৃষ্ণদাস নামে পরিচিত।

 

“কৃষ্ণদাস নাম তার অদ্ধৈত রাখিলা অদ্ধৈত চরিত কিছু তোহা প্রকাশিলা”অদ্ধৈতাচার্যের বাল্যনাম ছিল “কমলাক্ষ”তিনি বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন লাউড় পরগনার নবগ্রামে ১৪৩৪/৩৫ খৃস্টাব্দ আবিভুত হন। বৈষ্ণবধর্ম গ্রহণ করার পর তার নাম হয় অদ্ধৈত। পঞ্চদশ শতাব্দীতে অদ্ধৈতার্য চৈতন্য বিষয়ক পদ রচনার সুত্রপাত করেন!প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক দেওয়ান মুহাম্মদ আজরফ সাহেবের মতে সুনামগঞ্জ হিন্দু সমাজের সংস্কৃতি গড়ে উঠে শ্রী চৈতন্য দেব প্রচারিত বৈষ্ণবধর্ম সুচনা থেকে। অদ্ধৈত পুণ্যাহ স্মৃতি বিজড়িত স্থান ও সাধনা ফসল পনাতীর্থ অদ্যাবধি এখানে তার স্মৃতি বহন করে চলেছে।

কালের কড়াল গ্রাসে অদ্ধৈত বাড়ী ও তার নির্মিত আশ্রম যাদুকাটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে! যা নব্যগ্রাম নামে খ্যাত ছিল। দেশ বিদেশ হতে বহু ভক্ত অনুসারীগণ পুণ্যার্থীরা এখানে আসেন পুণ্য স্থানের উদ্দেশ্য। ১৫১৬ খ্রিস্টাব্দে এই পণতীর্থের সূচনা করেন শ্রীমান অদ্বৈত আচার্য্য। মানুষ তাঁকে গৌরআনা ঠাকুর বলে জানে!তাঁর জন্মস্থান তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের নবগ্রামে। নদী ভাঙনে নবগ্রাম আজ বিলীন! সে সময় নবগ্রামের অবস্থান ছিল লাউড় রাজ্যের লাউড়েরগড় এলাকায়। বর্তমানে যে মন্দির গড়ে উঠেছে যাদুকাটা নদীর তীরবর্তী লাউড়েরগড়ের পার্শ্ববর্তী রাজারগাঁও গ্রামে।

 

পঞ্চদশ শতাব্দীতে বৈষ্ণব সাধক অদ্বৈতাচার্য্যর পিতা কুবের আচার্য্য বা কুবের মিশ্র তর্ক পঞ্চানন রাজা দিব্য সিংহের মন্ত্রী ছিলেন। কুবের আচার্য্য ছিলেন পণ্ডিত শাস্ত্রবিদ ও সভাপণ্ডিত। কিন্তু মন্ত্রী কুবের আচার্য্যের পর পর ছয়টি সন্তান মারা যাওয়ায় তাঁর মনে ছিল প্রচন্ড কষ্ট। তাই তিনি দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে ভারতে চলে যান।পরবর্তীতে রাজা দিব্য সিংহের আহবানে তিনি পুনরায় লাউড়ে ফিরে আসেন। কিছুকাল পর ১৪৩৫ খ্রিস্টাব্দে তাঁর স্ত্রী নাভা দেবীর গর্ভে এক সন্তান লাভ করেন। কমলের মত সুন্দর বলে তার নাম রাখেন কমলাক্ষ। কমলাক্ষের মাতা নাভাদেবী স্বপ্নে দেখতে পান তার ক্রোড়স্থ শিশু শঙ্খচক্র গদাপদ্বধারী মহাবিষ্ণু। তার অঙ্গজ্যোতিতে চারদিক আলোকিত, মুখে দিব্য আভা! হতবিহবল নাভা দেবী সেই স্বর্গীয় মূর্তির সম্মুখে প্রণত হয়ে শ্রী চরণোদন প্রার্থনা করেন। কিন্তু মাতা কর্তৃক সন্তানের পাদোদক প্রার্থনা করা অনুচিত। তাই স্বপ্ন ভেঙে গেলে নাভা দেবী মহাচিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কমলাক্ষের অনুরোধে স্বপ্নের সকল বৃত্তান্ত তাঁকে খুলে বলেন।

সবশেষে বললেন,সপ্ততীর্থ বারি অবগাহনের ভাগ্য কি আমার হবে? মায়ের অভিলাষ পূরণে কমলাক্ষ হাত মুষ্টি করে বললেন,”সপ্ততীর্থ হানি হেথায় করিব স্থাপন” আজ রাতে সকল তীর্থের এখানে আগমন ঘটবে এবং আগামী প্রাতে মাতা সে তীর্থ বারিতে অবগাহন করবেন। নিকটস্থ শৈল শিকড়ে কমলাক্ষ অবস্থান করে প্রভাতে ঘণ্টা ধ্বনি করলেন। সাথে সাথে সকল তীর্থবারি অঝোর ধারায় বয়ে যেতে শুরু করল। কমলাক্ষের মাতা নাভা দেবীর যেন বিশ্বাস হতে চায়না-মনে প্রশ্ন জাগে এ সত্যই কি সপ্ততীর্থ? কমলাক্ষ তার মায়ের সঙ্গে সপ্ততীর্থ বারিকে পরিচয় করিয়ে দিলেন। এই হল শ্যামার সামৃত যমুনা,পাপনাশিনী গঙ্গা এবং রক্তপীথ আদি তীর্থ বারি। আনন্দ উৎফুল্ল মনে জননী তীর্থগণকে প্রণাম করে সপ্ততীর্থ বারিতে অবগাহন।

সিলেট নিউজ২৪/এসডি.


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  

বিভাগের খবর দেখুন