সিলেট: জৈন্তাপুর উপজেলার কেন্দ্রী নতুন ব্রিজের দুই পাশের রাস্তার উন্নয়ন কাজে নদীর তীরবর্তী জায়গা থেকে মাটি কেটে উত্তোলন করা নিয়ে স্থানীয় দুই পক্ষের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিনে এলাকা পরিদর্শন কালে স্থানীয় এলাকাবাসি জানান, কেন্দ্রী গ্রামের রাস্তার উন্নয়ন কাজে সবাই সহযোগিতা করছেন, গ্রামের কোন লোক রাস্তার কাজে বাধাঁ নিষেধ করেন নাই।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ নদীর তীরবর্তী ব্রিজের নিকটবর্তী জায়গা থেকে এক্সেভেটর মেশিন ব্যবহার করে মাটি কেটে উত্তোলন করা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে নির্মানাধীন নতুন ব্রিজ অনেকটা হুমকি ও ঝুকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম (সেলিম) তিনি জৈন্তাপুর ইউনিয়নের কেন্দ্রী গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল আহাদ গংদের বিরুদ্ধে নদীর তীরবর্তী জায়গা থেকে মাটি কাটার অভিযোগ করে একটি দরখাস্ত দাখিল করেন।
তবে আব্দুল আহাদ তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, রাস্তার উন্নয়ন কাজে আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে মাটি সংগ্রহ করে রাস্তা কাজ করে যাচ্ছি।
প্রশাসনের দিক নিদের্শনায় নদী থেকে কিছু বালু মাটি উত্তোলন করা হয়েছিল।
গত ৩ দিন থেকে মাটি উত্তোলন কাজ বন্ধ রাখা রয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন ব্রিজের তীরবর্তী জায়গা থেকে মাটি কাটা হচ্ছে না।
অপর দিকে স্থানীয় কেন্দ্রী গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আব্দুল সালাম (সেলিম), নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আব্দুল আহাদ সহ গ্রামের কয়েকজন লোক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পাল্টা দরখাস্ত দিয়ে রাস্তার উন্নয়ন কাজে বাধাঁ দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, আমি স্থানীয় জনগনের কথা বিবেচনা করে সকলের জনস্বার্থে নতুন নিমার্ণাধীন ব্রিজ রক্ষায় নদীর তীরবর্তী জায়গা থেকে এক্সেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটা বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছে। ফলে আমার বিরুদ্ধে কিছু ব্যক্তি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবার-কে সামাজিক ভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে দুই পক্ষের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন, ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি টিম কেন্দ্রী নিমার্ণাধীন নতুন ব্রিজ ও রাস্তার কাজ দেখতে যাবেন।