বিশেষ প্রতিনিধি :
বোনের সাথে মৃত্যুর আগে ভাইদের প্রতারণার অভিযোগ এনে ভোলার সহকারি জজ আদালতে মামলা হয় যার নং- ১৮৭/২০২৫ ইং । বোন সালমার মৃত্যুর পরে এতিম সন্তানদের উপর আবার নির্যাতন শুরু করে উক্ত ভাইয়েরা সাথে যুক্ত হয় সালমার কথিত স্বামী শাহাদাত হোসেন । নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়ে ঢাকার দারুস সালাম থানা থানায় মৃত সালমার কন্যা ফারজানার স্বামী মোহাম্মদ মিলন হোসেন অভিযোগ করেন । দারুস সালাম থানায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা হলেন – ফারজানার কথিত সৎ পিতা মোঃ শাহাদাত হোসেন ( মৃত সালমার কথিত স্বামী ) , মামা মোহাম্মদ কামাল, মোহাম্মদ জুয়েল ,মোহাম্মদ রুবেল ও মোহাম্মদ রাজিব সর্ব পিতা – কাঞ্চন সাহারা আলী (সালমার পিতা ) ঠিকানা – ডাওরি ৩ নং ওয়ার্ড (সাহারা আলী বাড়ি ) থানা- লালমোহন, জেলা ভোলা । অভিযোগের বাদী মিলন হোসেনের শাশুড়ি সালমা বেগম কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোঃ আব্দুল মুকিত এর অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন কয়েক মাস, গত ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ইং সালমা বেগমের লাস্ট ডায়ালাইসিস হয় ধানমন্ডির ইডেন মাল্টিকেয়ার হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড এ, এরপর সালমাকে তার উপরোক্ত ভাইয়েরা মিলে রাজধানীর দারুস সালাম থানার আহমেদনগরে থাকা সালমার মেয়ের জামাই (ফারজানার স্বামী) বর্তমান অভিযোগের বাদী মিলন হোসেনের বাড়ি থেকে জোরপূর্বক সালমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার কথা বলে গ্রামে নিয়ে যায় কিন্তু তারা সেখানে নিয়ে তার ডায়ালিসিস বন্ধ সহ সকল চিকিৎসা বন্ধ রেখে সালমার চিকিৎসার প্রয়োজনে স্বাক্ষর লাগবে মর্মে একটি স্বাক্ষর নেয় এবং সেই স্বাক্ষরের মাধ্যমে ৫ গন্ডা জমি প্রতারণার মাধ্যমে তারা লিখে নেয় বলে অভিযোগ উঠে এবং এ ব্যাপারে ভোলার সরকারি জজ আদালতে মামলা হয় বলে জানান বাদী মিলন যা বিচারাধী । এছাড়াও এর আগে সালমার বিদেশে পরিশ্রম করা আয় ৫ লক্ষ টাকা ( সালমার ভাই রুবেল ) গাড়ি ক্রয় করার জন্য হাওলাত নিয়ে ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ আছে এবং সালমার ভাইদের কাছে আমানত রাখা বাংলাদেশী ১১ লক্ষ টাকা সমমান( রিয়াল) এবং আমানত হিসাবে রাখা ১৯ বড়ি স্বর্ণ অলংকার আত্মসাৎ করারও অভিযোগ রয়েছে , এদিকে সালমাকে জোর পূর্বক ভোলার লালমোহনে নিয়ে চিকিৎসা বিহীন রাখায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা শুনে সালমা বেগমের সন্তানেরা ও তার মেয়ের জামাই বাদী মিলন হোসেন তখন তাদের প্রতি চাপ প্রয়োগ করলে তারা সালমাকে ঢাকায় নিয়ে আসতে বাধ্য হন গত ২৩ মে (সকাল বেলা) ২০২৫ ইং সেদিনই বিকাল বেলা সালমা বেগমের মৃত্যু হয় কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো: আব্দুল মুকিত এর চিকিৎসাধীন ঢাকার আল মানার হাসপাতালে , এ ব্যাপারে ডাক্তার মোঃ আব্দুল মুকিত বলেছিলেন সালমা বেগমকে সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালিসিস করাতে হবে এরকম পরামর্শ দেওয়া ছিল কিন্তু তার অভিভাবকরা তা না করে ডায়ালাইসিস প্রায় একমাস বন্ধ করে রেখেছিল এজন্যই রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং দ্রুত চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু বরণ করেন । আর সেই ভাইয়েরাই এখন মৃত সালমার এতিম সন্তান ফারজানা ও তার পরিবারের উপর বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতন শুরু করেন সাথে যুক্ত হয়েছে মৃত সালমার কথিত স্বামী শাহাদাত হোসেন , এজন্য ফারজানার স্বামী মোঃ মিলন হোসেন ২৭ আগস্ট ২০২৫ ইং ঢাকার দারুস সালাম থানায় একটি অভিযোগ করেন যার তদন্ত করছেন এস আই মাসুদুর রহমান , অভিযোগের ব্যাপারে জানতে মৃত সালমা ভাইদের নম্বরে কল দিলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায় । এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মিলনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন – আমি একজন ব্যবসায়ী বিবাদীরা বিভিন্ন সময় আমাকে হয়রানি সহ আমার ও আমার পরিবার বর্গের উপর নির্যাতন করে আসতেছে তাই আমি দারুস সালাম থানায় ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য অভিযোগ করেছি । এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দারুস সালাম থানার এস আই মাসুদুর রহমান বলেন – অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে , এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দারুস সালাম থানার অফিসার ইনচার্জ রাকিবুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন – এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।