আমার জন্মের বহু আগেই আমার জন্য তুলে রাখা হয় তাজা ফুল, নক্ষত্রের আলো আর টাটকা ফলের রস। আকাশে উত্তরফাল্গুনীকে সাক্ষী রেখে যখন আমি জন্মালাম তখন ভরা পূর্ণিমা। কাঁচুলি ভরে চাঁদ নিয়ে এসেছে আলো। রাত গভীর বলেই বৃহষ্পতি আর গুরুবারের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
যদিও তাতে আমার পিতৃদেবতা বা মাতৃদেবীর বিশেষ কিছু যায় আসে নি। তবু সময় লিখে রাখতে হয় ভবিষ্যতের কথা ভেবে। মায়ের ষোড়শী বুকে তখন দুধের ফল্গুধারা।
বাবা তখন এতটাই জোয়ান যে অনায়াসেই জেগে ফেলতে পারে রাতের পর রাত শুধুমাত্র কন্যাপ্রাপ্তির সুখে। সাড়ে তিন কেজির স্বাভাবিক জন্ম শিশুকে ঘিরে তখন আ-বাড়ি আহ্লাদ, যদিও তখনও দেশের অনেক প্রান্তেই কন্যাভ্রূণ হত্যা চলছে নির্দ্বিধায়।
শুনেছি ওনারা নাকি মানতও করেছিলেন কন্যালাভের আশায়| আজ আমি চল্লিশ| বাবা মায়ের প্রতি অসীম শ্রদ্ধায় আনত আমি এটুকুই বলতে পারি আমার জন্ম সার্থক এ দেশের মাটি-জল-হাওয়া পেয়ে। আর সার্থক এতো মানুষের নিখাদ ভালবাসা পেয়ে। শুভ জন্মদিন মা বাবা, ভালো থেকো।
লেখকঃ শ্রাবণী গুপ্ত