শেখ অা্বুমুছা সাতক্ষীরা জেলাপ্রতিনিধি
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ষষ্ঠ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এক প্রধান শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। জানাগেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কোদন্ডা গ্রামের ৬ষ্ট শ্রেণীতে পড়ুয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়ে (১১) এর পিতা-মাতা শুক্রবার সকালে বাঁশ কাটার কাজে বাড়ীতে না থাকার সুযোগে কোদন্ডা গ্রামের মৃত বাবর আলীর ছেলে মইনুর ইসলাম অন্যান্যদের অজান্তে তাদের বাড়ীতে যায়। ছাত্রী যথানিয়মে শিক্ষকের সাথে কুশল বিনিময় করে বারান্দায় চেয়ারে বসতে দেয় ও ঘরে থাকা বিস্কুট এবং পানি দেয়। এক পর্যায়ে কোদন্ডা কেবিএ, দক্ষিণ চাপড়া সাকসেচ ও আশাশুনি পূর্ব পাড়ায় আশাশুনি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালক মইনুর অভিভাবকদের অবস্থান জেনে শুনে ছাত্রীকে কথা আছে বলে ঘরের ভেতরে ডেকে নেয়। কোমলমতি শিশু ছাত্রী সরল মনে স্যারের ডাকে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর সে ঐ শিশুকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এসময় ছাত্রী কান্নাকাটি শুরু করলে মইনুর তাকে ছেড়ে দিয়ে কৌশলে বাড়ীর বাইরে যায়। মেয়েটির কান্নার শব্দে পার্শ্ববর্তী বাড়ীর লোকজন এসে ভিকটিমকে মাটিতে লুটিয়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে এবং শিক্ষককে কৌশলে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। এরপর আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম কবির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ও শিক্ষক মইনুরকে গ্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে নেয়। এব্যাপরে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম কবির জানান, এঘটনায় ঐ ছাত্রী বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১০(১০)২০২০ নম্বর মামলা দায়ের করেছেন। উল্লেখ্য, এই শিক্ষক মইনুর ইতোপূর্বে চাপড়া ও আশাশুনিতে বহু ছাত্রীর শ্লীতাহানীর ঘটনা ঘটিয়েছে। এমনকি সম্প্রতি সাতক্ষীরাতে এক বাড়ীতে অনৈতিক কর্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় জনাতার হাতে-নাতে ধরা পড়ে মোটা অংকের টাকা দিয়ে তাদের ম্যানেজ করে সে যাত্রায় মাপ পেয়ে যায়।