মৌলভীবাজার বড়লেখা প্রতিনিধিঃ জলবায়ু, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন এমপির এলাকা বড়লেখা পৌরসভার নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোড়ালো ভূমিকা এবং জনসাধারণের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় দু’একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সুন্দর ও শান্তি শৃঙ্খলার সাথে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে নির্বাচন গ্রহণের শেষ মুহূর্তে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম ও প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট মুজিবুর রহমান খসরু নতুন এবিএম পদ্ধতির এ নির্বাচনকে পাতানো এবং পূর্ব পরিকল্পিত তামাশার নির্বাচন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অপরদিকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাইদুল ইসলামও এক সাক্ষাৎকারে এ নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করে বিভিন্ন কেন্দ্রে তাঁর এজেন্টদের ভয় ভীতি প্রদর্শন ও বের করে দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ করে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন।
পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হলেন যারা -১ নং ওয়ার্ডে- প্রাক্তন কাউন্সিল শাহজাহান আহমেদ। ২ নং ওয়ার্ডে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক জেহিন সিদ্দিকী। ৩ নং ওয়ার্ডে- নতুন নির্বাচিত হয়েছেন আবুল হাশিম স্বপন। ৪ নং ওয়ার্ডে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন – কবির আহমদ। ৫ নং ওয়ার্ডে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন – আব্দুল হাফিজ ললন। ৬ নং ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন জাহেদ আহমদ চৌধুরী। ৭ নং ওয়ার্ডে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন -রেজাউল করিম রেজা।৮ নং ওয়ার্ডে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন – রেহান পারভেজ রিপন ও ৯ নং ওয়ার্ডে – নতুনভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জাহিদ আহমদ।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যোগ্য পৌর পিতা ও কাউন্সিলরবৃন্দের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পৌর এলাকার জীবনমান উন্নয়ন ও বড়লেখাকে আধুনিক পৌরসভা গঠনের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন পৌরবাসী।
প্রসঙ্গতঃ প্রথম ধাপে আজ সোমবার ২৮ ডিসেম্বর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে বড়লেখা পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল ৮টা থেকে ১০টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৪টায়। বড়লেখা পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১৫ হাজার ৪৪৩ জন।
এর মধ্যে ৯৭০১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।