রাজা মিয়া বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে জন্ম। নাম উনার আলহাজ্ব জমির আহমদ, ছোটবেলা থেকেই মানবতাবাদী আচরণে বেড়ে উঠে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত এলাকায় মানুষের কল্যাণে যিনি অনবরত কাজ করে গেছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য,কৃষি ও দিনমজুরদের সহায়তার লক্ষ্যে বটবৃক্ষের মতো পাশে ছিলেন।দীর্ঘদিন দিন সুদূর আমেরিকায় থাকার পরে দেশে ফিরে ১৯৬৯ সালে ১৬৬ শতক ভূমির উপর নির্মাণ করেন জমির আহমদ বহু মুখী উচ্চ বিদ্যালয়, অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
এলাকায় অবহেলিত ও বঞ্চিত ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষার জন্য সিলেট জেলার বিশ্বনাথ থানার অন্তর্গত জমির আহমদ বহু মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করে আজ দেশ ও বিদেশে এলাকার সুনাম কুড়াতে যাচ্ছেন অত্র বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
জমির আহমদ সর্বক্ষন মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত এক নিবেদিত প্রাণ ছিলেন।
জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নিজের সবটুকু বিসর্জন দিয়ে এই বিদ্যালয় কিংবা এলাকার উন্নয়নে নিজেকে আত্ম নিয়োগ করে রেখেছিলেন।
জমির আহমদ কখনো মানুষের কষ্টের কথা শুনলে ঘরে বসে থাকতেন না,মানুষের দুঃসময়ে ছায়ার মতো পাশে থাকতেন। জমির আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশাপাশি উনার এলাকায় জমির আহমদ যাত্রী চাউনি, দৌলতপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, আয়েশা আহমদ হাফিজিয়া মাদ্রাসা,সহ এলাকার অবহেলিত রাস্তা ঘাট সড়ক কালভার্ট সহ সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করে গেছেন। সর্ব শেষ ২০২০ সালে ১৬ ই ডিসেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
উনার মৃত্যুে এক অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেছে বলে মনে করেন এলাকাবাসী। এদিকে বাবার রেখে যাওয়া ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আগামী দিনে এলাকার উন্নয়নে এক যোগে কাজ করে যাবেন বলে জানান উনার একমাত্র ছেলে মনজুর আহমদ।