শিরোনাম
জৈন্তাপুরে কাপ-পিরিচ প্রতীক পেলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল গফফার চৌধুরী খসরু জৈন্তাপুরে ঘোড়া প্রতীক পেলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল , সবার দোয়া ও সহযোগিতা চাইলেন আমি তোমার জম মালাকুল মউত আজরাইল ৫নং কলাতলীতে বাজার ব্যবসায়ী নির্বাচন সম্পূর্ণ হয় জৈন্তাপুর কেন্দ্রী নতুন ব্রিজের রাস্তার উন্নয়ন কাজে নদীর তীরবর্তী জায়গা থেকে মাটি উত্তোলন করা নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টা অভিযোগ  জৈন্তাপুরে প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা কামাল আহমদকে কেন ভোট দিবেন? সিলেটে ‘স্মার্ট পোস্টাল সার্ভিস পয়েন্ট’-এ উদ্যোক্তা নিয়োগ দোয়ারাবাজারে জামায়াতের নগদ অর্থ ও ঢেউটিন বিতরণ আল্লাহ্ কে, আপনি কি তাঁর পরিচয় জানেন?
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১০:৪২ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

দোয়ারা বাজারে শিশু বলাৎকারের দামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

Coder Boss / ২৬২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১

মুহাম্মদ মামুন (দোয়ারা উপজেলা প্রতিনিধি)
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ৯ বছরের এক শিশুকে বলাৎকারের ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও নিরীহ পরিবারকে মামলা করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রাম্য মাতব্বররা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

গত সোমবার (২৬ জুলাই) উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া (আননপাড়া) গ্রামে এ বলাৎকারের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, গত সোমবার বিকেলে বোগলাবাজার ইউনিয়নের উত্তর আলমখালি গ্রামের দিনমজুর ইউসুফ মিয়ার ৯ বছরের শিশুপুত্র খেলতে গেলে পার্শ্ববর্তী পেকপাড়া (আননপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা রাশিদ মিয়ার পুত্র মিজান তাকে ডেকে নিয়ে মাদরাসার নির্জন কক্ষে বলাৎকারের ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনার পর শিশুর পায়ুপথ দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকলে এবং শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসা শেষে সিলেট কোতোয়ালি থানা থেকে তদন্ত প্রতিবেদন দোয়ারাবাজার থানার ওসির বরাবরে সিলগালা করে পাঠালে ওই চিঠিও কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়নি।

এ ঘটনা ব্যাপকভাবে জানাজানি হওয়ার পর গত দুইদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে তোলপাড় চলছে। বলাৎকার হওয়া শিশুর পিতাকে থানা প্রশাসনকে না জানাতে প্রভাবশালী পক্ষ এখন নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভিকটিম শিশুর পিতা ইউসুফ মিয়া বলেন, ঘটনার পর আমার ছেলের অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করে চিকিৎসার জন্য তাকে হাসাপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসা শেষে এলাকায় এসে আবারও তাদের কাছে গেলে তারা মামলা-মোকদ্দমা না করতে বলেন এবং ইউপি চেয়ারম্যান জসিম মাস্টার ১৫ হাজার টাকা নিতে বলেন। কিন্তু আমি টাকা নেইনি। আমি নিরীহ মানুষ। মিজানের পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের সঙ্গে মামলা-মোকদ্দমা করে পারব না বলে জানান গ্রামের মানুষ। নানাভাবে তারা আমাকে এখন মামলা না করতে হুমকি দিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে তারা নানাভাবে আমাকে ফাঁসিয়ে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম মাস্টার বলেন, এ ঘটনা শুনেছি। তবে বাস্তবতা আমার জানা নেই।

দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) প্রতিবেদন পাওয়ার পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন