সত্যজিৎ দাস(স্টাফ রিপোর্টার):
বৃহত্তর সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার ০৪ নং সদর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব আজমল হোসেন চৌধুরীর নির্বাচনী মিছিলে উপজেলার রাজাপুরে রহস্যজনকভাবে দুর্বৃত্ত দ্বারা ছুরিকাঘাতে নিহত আল আমিন (২৫) এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার(১৯ জানুয়ারি) বিকাল ০৪ঃ৩০ মিনিটের সময় বাহুবল উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৃতের বাড়ী মিঠাপুরে গ্রামে নামাজের জানাজা শেষে হাজার স্বপ্ন আঁকা,ঘোড়া প্রতীকের জনাব আজমল হোসেন চৌধুরী’র একনিষ্ঠ সমর্থক তরতাজা যুবক আল আমিন-এর লাশ দাফন করা হয়। উক্ত জানাজার নামাজে চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থী,রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও উপজেলার বিশিষ্ট সমাজসেবক সহ সহস্রাধিক মুসল্লীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাহুবলের সিনিয়র সাংবাদিক সাদিকুর রহমান এর সাথে ডেইলি সিলেট নিউজ এর বাহুবল প্রতিনিধি সরজমিনে অনুসন্ধানে নেমে জানতে পারেন যে,’ রহস্যঘেরা এ হত্যাকান্ডকে পুঁজি করে স্থানীয় একটা গোষ্ঠী ফায়দা লুটে নেয়ার জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। এর ফলে ঐ এলাকার নিরীহ লোকজনের মধ্যে বিরাজ করছে হয়রানির আতঙ্ক সহ নানাবিধ ভয় ‘। তবে হবিগঞ্জের মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মুরাদ আলী বুধবার(১৯ জানুয়ারি) বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে আল আমিন হত্যাকান্ডের ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক দ্রুত সময়ে আসামীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছেন। এসময় বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রকিবুল ইসলাম খান,এসআই জসিম উদ্দিন, পিবিআই কর্মকর্তা ছাড়াও নিহতের আত্মীয়-স্বজন সহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে,গত মঙ্গলবার(১৮ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বাহুবলের রাজাপুর বাজারে বাহুবল উপজেলার ৪নং সদর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আজমল হোসেন চৌধুরী’র “ঘোড়া” মার্কার সমর্থনে মিছিল শুরু হয়। এক পর্যায়ে ঐ মিছিলে অংশগ্রহণকারী আল আমিন রহস্যজনকভাবে ছুরিকাঘাতে আহত হউন এবং তাৎক্ষণিক গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা হেল্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা আল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
উক্ত মর্মান্তিক ঘটনার বিষয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব আজমল হোসেন চৌধুরী ডেইলি সিলেট নিউজ24”কে বলেন,’ আমি এই বাহুবল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হলেও,সদর ইউনিয়ন বাসীর নিকট আমি কারও ভাই,কারও সন্তান,কারও ভাতিজা-ভাগ্না এবং তাদের সন্তান,ভাই,ভাতিজা হিসেবেই আমি গত পাঁচটি বছর ০৪ নং ইউনিয়ন বাসীর সেবা করে আসছি। আল আমিন শুধু আমার একনিষ্ঠ সমর্থক নয়,সে আমার ভাইও ছিলো।আল আমিন খুবই ভালো ছেলে,তার কোন শত্রু নেই এমনকি তার পরিবারের সদস্যদেরও কারও সাথে কোন মনোমালিন্যতা নেই। আল আমিনের পুরো পরিবারের সদস্যরা আমাকে খুবই ভালোবাসেন এবং স্নেহ করেন। কিন্তু আমার দূর্ভাগ্য আসন্ন ইউপি নির্বাচন উপলক্ষ্যে কুচক্রী মহল আমার ছোট ভাইটিকে কেড়ে নিলো । “আমি আজমল হোসেন চৌধুরী আমার ছোট ভাই হত্যার বিচার চাই”। আমি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের উপর এখনও আস্থা রাখি ও মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের কথায় শতভাগ বিশ্বাসী যে,আমার প্রিয় ভাই আল আমিনের খুনিদের খুব দ্রুত উনারা গ্রেফতার করতে সক্ষম হবেন,কারণ ইতোমধ্যে উনারা মার্ডার উইপেন উদ্ধার করে ফেলেছেন। আমি এও বিশ্বাস করি যে,দেশে প্রচলিত আইনানুযায়ী মহামান্য আদালতের মাধ্যমে অপরাধী সহ ঘটনার মাস্টারমাইন্ডকেও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবেন বাহুবলের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাগণ ‘।
পরিশেষে আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক সিলেট নিউজ এর মাধ্যমে আমার সমর্থকদের বলবো,” মহান আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন,আপনারা শান্ত থাকুন,আইনের প্রতি আস্থা রাখুন ও আল আমিনের রুহের মাগফেরাত কামনা করুন,শোকসন্তপ্ত পরিবারটির জন্য দোয়া/প্রার্থনা ও সহযোগিতা করুন এবং চলমান করোনা মহামারী ঠেকাতে কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন”। আমরা সত্যের পথে ছিলাম,আছি ও থাকবো। আসুন শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করি।ইনশাআল্লাহ আমরা ভাই আল আমিনের প্রাণ বিসর্জন বৃথা যাবেনা এবং আপনাদের সকলের সহযোগিতায় অবশ্যই আগামী ৩১ জানুয়ারি আবারও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হবো ‘।