ইসমাইল হোসেন শিমুল, গোয়াইনঘাট:
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জীবিকা নির্বাহে একমাত্র অবলম্বন পাথর কোয়ারী ,(জাফলং, বিছনাকান্দি) গত কয়েকবছর যাবত এসব বন্ধ থাকায় এমনিতেই মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করে আসছে ।
তাছাড়া আকস্মিক বন্যা কবলিত এলাকা এই গোয়াইনঘাটে কয়েক মাস পরপর দফায় দফায় বন্যা, অতিবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল উত্তর সিলেটের মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ উজান থেকে নেমে আসা পানিতে তলিয়ে গিয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলাসহ সিলেটের আরো ৩/৪ টি উপজেলা – কোম্পানিগঞ্জ,জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, গোলাপগঞ্জ, সিলেট সদর ইত্যাদি উপজেলা ৷
তবে ১৪ মে শনিবার দুপুর থেকে পানি কমতে শুরু করেছিল। শনিবার দিবাগত রাত থেকে সারি ও ডাউকি নদী দিয়ে নেমে আসা পানিতে গোয়াইনঘাট উপজেলা সর্বত্র তলিয়ে গেছে। গোয়াইনঘাট বড় বড় হাট বাজারগুলো বন্যা কবলিত। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতেও পোহাতে হচ্ছে অনেক সমস্যা।
বিপদসীমার উপরে সারি ও ডাউকি এবং পিয়াইন নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। তাছাড়া সুরমার পানিও বিপদসীমার ওপরে রয়েছে
সিলেট শহরের সাথে উপজেলা সদরের যোগাযোগ সম্পন্ন বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা সদরের সাথে ১২টি ইউনিয়নের প্রায় ৪ লাখ জনগোষ্ঠীর যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত রয়েছে। হাজার হাজার ঘর বাড়িতে পানি উঠেছে।
গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। শতকরা ৮০% শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে, এতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। অনেক হাট-বাজারে পানি উঠায়, হাঠবাজার অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।বোরো ও আউশের বীজতলা এবং বোনা আমনের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
এদিকে কৃষকেরা গবাদি পশু নিয়ে রয়েছেন বিপাকে। চরম গো-খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে।
অপরদিকে বন্যার কারনে শ্রমিকরা কোন কাজে যেতে না পারায় শ্রমিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। করোনার দখল কাটিয়ে উঠতে পারার আগেই এসব প্রাকৃতিক দূর্যোগ কারণে মানুষ জীবনযাপন অনেকটা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ফসলি জমিতে পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।