স্টাফ রিপোর্টার:
বিভিন্ন পত্রিকায় ভূঁইফোড় কোম্পানির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্নসাৎ ও প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সাইবার পুলিশ সেন্টার।
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নিরীহ লোকদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে এক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এ চক্রটি রাজধানী ঢাকার উত্তরায় নারী ও শিশু কল্যান কেন্দ্র নামে একটি অফিস খুলে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করছে। বিভিন্ন জেলার শিক্ষিত ও বেকার যুবকদের চাকরি দেয়ার প্রলোভন দিয়ে ও চাকরির জামানত বাবদ একটা অঙ্কের টাকা রেখে আবার কখনো প্রশিক্ষন,ল্যাপটপ কিংবা মোটর সাইকেল দেয়ার নাম করে অগ্রিম বাবদ নিয়ে বিপুল পরিমাণ চাকরীপ্রার্থীর নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা।
এ বিষয়ে সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) তে একটি অভিযোগ আসে। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, অভিযোগকারী ভিকটিম ছাড়াও সারা বাংলাদেশে অসংখ্য বেকার চাকরিপ্রার্থীরা এই চক্রের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছে। পরবর্তীতে সাইবার মনিটরিং টিমের একটি চৌকস দল গত মঙ্গলবার (০৯ আগষ্ট) ডিএমপি,ঢাকার দক্ষিণখান থানাধীন আশকোনা এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের মূলহোতা;-
১) মোঃ মজিবুর রহমান (৪২) সহ তার দুইজন নারী সহযোগী
২) লাবনী আক্তার (২৩) ও
৩) জান্নাতুল ফেরদৌস ময়না (২০) দের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকালে তাদের নিকট থেকে ১৪টি মোবাইল ফোন,৬০ বিভিন্ন কোম্পানির সিম কার্ড, চাকরিপ্রার্থীদের নিকট থেকে পাওয়া ৪০টি জাতীয় পরিচয়পত্র,১৪৮টি বায়োডাটা ও ৩০ এর অধিক ভূঁইফোড় কোম্পানি/এনজিওর নামে করা নিয়োগপত্র ও রাবার স্ট্যাম্প সিল জব্দ করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মোঃ মজিবুর রহমান জানান, সে তার অন্যান্য সহযোগীদের যোগসাজশে গত ৫ বছরে প্রায় ২৫ হাজার সিভি/বায়োডাটা সংগ্রহ করেছে। এসব বায়োডাটা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন চাকুরীপ্রার্থীদের নিকট থেকে ১ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
একই ধরণের প্রতারণার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মূলহোতা মোঃ মজিবুর রহমান এর আগে ২০১৮ সালে একাধিকবার গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে জামিনে বের হয়ে এসে একই ধরণের কাজ করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম (ডিএমপি) থানার মামলা নং- ২৩,তারিখ- ১০/০৮/২০২২ খ্রি, ধারা- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৩(২)/২৬(২)/৩০(২)/৩৫(২) তৎসহ পেনাল কোডের ৪০৬/৪২০ রজু করা হয়েছে।